Advertisement
২৩ অক্টোবর ২০২৪
Alipurduar

আলিপুরদুয়ারে বালিকাকে ধর্ষণ-খুনের অভিযোগে ধৃত তিন, নেপালে পালানোর চেষ্টায় ছিলেন মূল অভিযুক্ত

আলিপুরদুয়ারে বছর সাতের নাবালিকাকে ধর্ষণ-খুনের অভিযোগে গ্রেফতার তিন জন। পুলিশ সূত্রে খবর, মূল অভিযুক্তকে নেপাল সীমান্ত থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

—প্রতীকী চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০২৪ ১৬:২২
Share: Save:

আলিপুরদুয়ারে বছর সাতের নাবালিকাকে ধর্ষণ-খুনের অভিযোগে গ্রেফতার তিন জন। পুলিশ সূত্রে খবর, মূল অভিযুক্তকে নেপাল সীমান্ত থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁর সঙ্গে গ্রেফতার হয়েছেন আরও দু’জন। এসডিপিও প্রশান্ত দেবনাথও বলেন, ‘‘মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে নেপাল সীমান্ত থেকে। আরও দু’জন তাঁর সঙ্গে ছিলেন। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রথমে যখন মেয়েটিকে পাওয়া যাচ্ছিল না, তখন অপহরণ মামলা দায়ের হয়েছিল। পরে খুন ও পকসো ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।’’

সূত্রে খবর, এক সপ্তাহ ধরে নিখোঁজ ছিল ওই নাবালিকা। মঙ্গলবার সকালে তার দেহ মেলে। অভিযোগ, অপহৃত ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে, খুন করা হয়েছে। দেহ পোড়ানো হয়েছে কি না, তা স্পষ্ট নয়। পুলিশের বক্তব্য, ধর্ষণ করে খুন কি না, তা ময়না তদন্তের পরে স্পষ্ট হবে। পুলিশ সূত্রে খবর, মূল অভিযুক্ত ফোন ব্যবহার করেন না। পরিবারের সঙ্গেও তাঁর তেমন সম্পর্ক ছিল না। তাই অভিযুক্তকে খুঁজতে সমস্যা হচ্ছিল। পুলিশ তরফে জানানো হয়, এর পরে স্থানীয় কয়েক জন বাসিন্দার কাছ থেকে তদন্তকারীরা জানতে পারেন, ওই অভিযুক্ত বিহারের কিসানগঞ্জে একটি ইটভাটায় কাজ করতেন। সেই ইটভাটা-সহ লাগোয়া কয়েকটি ইটভাটাতেও খোঁজখবর শুরু করে পুলিশ। সেখান থেকেই খবর মেলে, ওই অভিযুক্ত নেপালে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। এর পরেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে তাঁকে। পুলিশ সূত্রে দাবি, জেরায় ওই ব্যক্তি নাবালিকাকে খুনের কথা স্বীকার করেছেন।

ধৃতদের কঠোর শাস্তির দাবিতে সংশ্লিষ্ট থানার সামনে ও সড়কে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। নিহতের মা বলেন, ‘‘আমার মেয়েকে যারা মেরেছে, তারা যেন চরম শাস্তি পায়।’’ জেলা পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশী বলেন, ‘‘খুবই বেদনাদায়ক ঘটনা। অভিযুক্তেরা যাতে কঠোর শাস্তি পায়, সেই চেষ্টা করা হবে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Alipurduar
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE