(বাঁ দিক থেকে) অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার, ঘটনাস্থল, সেখানে তদন্তকারীরা। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
আরজি করের মহিলা চিকিৎসক-পড়ুয়ার খুন এবং ধর্ষণের মামলায় সোমবার শিয়ালদহ আদালতে প্রথম চার্জশিট জমা দিয়েছে সিবিআই। সেই চার্জশিটে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা দাবি করেছে, ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত এক জনই। ঘটনার ১২ ঘণ্টার মধ্যে কলকাতা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া সেই সিভিক ভলান্টিয়ারের নামই ‘মূল অভিযুক্ত’ হিসাবে উল্লেখ করেছে সিবিআই। তাদের দাবি, গত ৯ অগস্ট ভোর ৪টে ০৩ মিনিট থেকে ভোর ৪টে ৩১ মিনিট— এই ২৮ মিনিটে সেমিনার রুমের মধ্যে ওই ঘটনা ঘটিয়েছিলেন ধৃত সিভিক।
প্রসঙ্গত, অভিযুক্তকে গ্রেফতারের পরে কলকাতা পুলিশও দাবি করেছিল, ভোর ৪টে থেকে সাড়ে ৪টের মধ্যে খুন এবং ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ওই সময়ের মধ্যে হাসপাতালের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে অভিযুক্তের গতিবিধি কাটাছেঁড়া করা হয়। সেই তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতেই অভিযুক্তকে নিজেদের হেফাজতে নেয় পুলিশ। পরে আদালতের নির্দেশে তাঁকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
সিবিআই চার্জশিটে জানিয়েছে, ট্র্যাফিক পুলিশ এবং লালবাজারের কাছ থেকে সংগৃহীত সিসিটিভি ফুটেজ দেখেই অভিযুক্তের গতিবিধির প্রমাণ মিলেছে। আরজি করের ট্রমা সেন্টারে প্রবেশের মুখে লাগানো সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গিয়েছে, রাত ৩টে ৩৪ মিনিটে বিল্ডিংয়ের ভেতরে ঢোকেন অভিযুক্ত। তখন তাঁর পরনে ছিল টি-শার্ট এবং জিন্স। বাঁ হাতে ধরা ছিল হেলমেট। গলায় ঝোলানো ছিল একটি হেডফোন। ওই বিল্ডিংয়ের নিরাপত্তাকর্মীর সঙ্গে কথা বলেই ভিতরে প্রবেশ করেন অভিযুক্ত। মিনিট দুই পরেই তিনি সেখান থেকে বেরিয়ে যান। তার আধ ঘণ্টা পরে অভিযুক্ত সেমিনার রুমে প্রবেশ করেন। তার পর ৪টে ৩১ মিনিট নাগাদ তাঁকে সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে দেখা যায়। ৪টে ৩২ মিনিট নাগাদ চারতলা থেকে নেমে আসেন অভিযুক্ত। সিবিআই চার্জশিটে উল্লেখ করেছে, বেরোনোর সময় অভিযুক্তের গলায় কোনও হেডফোন ছিল না। সেই হেডফোনই মূল ঘটনাস্থল থেকে পরে কলকাতা পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছিল। বস্তুত, কলকাতা পুলিশ দাবি করেছিল, সেই হেডফোনের সূত্র ধরেই তাদের তদন্তকারীরা ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করেছিলেন।
আরজি কর-কাণ্ডে এখনও পর্যন্ত তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে সিবিআইয়ের দাবি, ওই ঘটনায় ‘মূল অভিযুক্ত’ এক জনই। অন্য দু’জন— আরজি করের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার তৎকালীন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল। সিবিআই আগেই শিয়ালদহ আদালতে জানিয়েছিল, ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় প্রত্যক্ষ যোগাযোগের অভিযোগ নেই তাঁদের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর তথ্যপ্রমাণ লোপাটের চেষ্টার অভিযোগে তাঁদের গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। চার্জশিটেও সেই কথাই উল্লেখ করেছে তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy