অনুমতি ছাড়াই লোকালয়ের ভিতরে সংরক্ষিত একটি জায়গায় মোবাইল টাওয়ার বসানোর প্রতিবাদে সোচ্চার হলেন হাড়োয়ার পুকুরিয়া গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশ। ওই মোবাইল টাওয়ারের কাজ বন্ধের জন্য মহকুমা শাসক, বিডিও, ভূমি দফতরের আধিকারিক ও স্থানীয় গোপালপুর ২ পঞ্চায়েত প্রধানের কাছে লিখিত আবেদন জানিয়েছেন। এ বিষয়ে বসিরহাটের মহকুমাশাসক শেখর সেন বলেন, ‘‘ঘটনাটি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
ওই গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, গ্রামের এক ব্যক্তি মোবাইল টাওয়ার কোম্পানির সঙ্গে এক জায়গার জন্য চুক্তি করে, অন্য একটি বিশেষ সংরক্ষিত জায়গায় টাওয়ার বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। এমনিতেই মোবাইল টাওয়ারের তেজস্ক্রিয়তা থেকে নানা রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা করছেন গ্রামের মানুষ। তার উপর বসত বাড়ি লাগোয়া একটি বিশেষ সংরক্ষিত জায়গায় টাওয়ার বসানোকে কেন্দ্র করে গ্রামবাসীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। তাঁদের বক্তব্য, “সম্প্রতি শহর এবং গ্রামাঞ্চলে টাওয়ার বসানো নিয়ে রাজ্য সরকার যখন কড়াকড়ি করেছে, সে সময়ে কেন গ্রামবাসীদের মতামতের প্রয়োজন উপেক্ষা করে টাওয়ার বসানোর কাজ শুরু হল?”
ওই গ্রামের গোলাম রসুল মোল্লা, রব্বান মোল্লা, নজরুল ইসলাম বলেন, ‘‘অনুমতি ছাড়াই আমাদের বাড়ি লাগোয়া বিশেষ সংরক্ষিত জায়গায় টাওয়ার বসানো হচ্ছে। তাতে নানা রোগের সম্ভাবনা রয়েছে। তাই আমাদের আবেদন, টাওয়ারটি সঠিক জায়গাতে বসানো হচ্ছে কিনা তা তদন্ত করে দেখে গ্রামবাসীদের সুবিধার্থে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হোক।’’
সম্প্রতি যত্রতত্র্ মোবাইল টাওয়ার বসানোর উপর কিছু বিধি-নিষেধ জারি করেছে কেন্দ্রীয় টেলি-যোগাযোগ মন্ত্রক। এরই প্রেক্ষিতে সম্প্রতি পঞ্চায়েত দফতরের বিশেষ সচিব রাজ্যের সব জেলাশাসককে চিঠি পাঠিয়ে বিধি রূপায়ণ করার নির্দেশ দেওয়ার পরেও কী ভাবে গ্রামের মধ্যে টাওয়ার বসানোর অনুমতি দেওয়া হল? স্থানীয় পঞ্চায়েত-প্রধান বিভা মণ্ডল বলেন, ‘‘টাওয়ার বসানোর আগে যখন অনুমতি দেওয়া হয়েছিল তখন কেউ কোনও রকম প্রতিবাদ করেনি। এখন টাওয়ার বসানোর সময়ে অভিযোগ করা হচ্ছে। বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy