অভিযোগকারী মহিলা ও তাঁর স্বামী নিজস্ব চিত্র।
জেল থেকে বেরিয়ে বছর একুশের নির্যাতিতা গৃহবধূকে ফের ধর্ষণের অভিযোগ উঠল প্রতিবেশী এক যুবকের বিরুদ্ধে। কিন্তু থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গেলেও বার বার ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন নির্যাতিতা। সুন্দরবন পুলিশ জেলার সুপারের কাছে অভিযোগ জমা দিয়েও সুরাহা মেলেনি বলে জানিয়েছেন তিনি। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘি থানার দিঘিরপাড়-বকুলতলা এলাকায়।
অভিযুক্ত যুবকের নাম মিলন শিকারী। অভিযুক্তের মা রায়দিঘি থানায় রাঁধুনির কাজ করেন। তাই তাঁর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেওয়া হচ্ছে না বলে দাবি নির্যাতিতার পরিবারের। নির্যাতিতার স্বামী জানিয়েছেন, তিনি পেশায় দিনমজুর। তাই বেশির ভাগ সময় কলকাতায় থাকতেন। বাড়িতে থাকতেন তাঁর স্ত্রী ও শিশু সন্তান। তাঁর অভিযোগ, বাড়িতে একা থাকার সুযোগ নিয়ে জানুয়ারি মাসে প্রতিবেশী মিলন যুবতীকে ধর্ষণ করেন। নির্যাতিতা রায়দিঘি থানায় অভিযোগ জানাতে গেলেও পুলিশ অভিযোগ নিতে চায়নি বলে অভিযোগ। সুন্দরবন পুলিশ সুপারেরও দারস্থ হন তাঁরা। তাতেও সমস্যার সমাধান না হওয়ায় আলিপুর ক্রিমিনাল আদালতে বিচার চান নির্যাতিতা। আদালতের নির্দেশে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু মার্চ মাসে জেল থেকে অভিযুক্ত ছাড়া পেয়ে যান।
নির্যাতিতার অভিযোগ, বাড়ি ফিরে মিলন ও তাঁর বাবা কেস তুলে নেওয়ার জন্য গৃহবধূকে বেধড়ক মারধর করেন। ১০ এপ্রিল আবার ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করেন মিলন। পর দিন ফের রায়দিঘি থানার দ্বারস্থ হন গৃহবধূ। তাঁদের অভিযোগ, গত বারের মতই ফিরিয়ে দেওয়া হয়। ১২ এপ্রিল বিষয়টি সুন্দরবনের এসপি-কেও জানানো হয়। কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি। বাধ্য হয়ে নির্যাতিতা ও তাঁর স্বামী সিপিএম নেতা তথা রায়দিঘির প্রাক্তন বিধায়ক কান্তি গাঙ্গুলির দ্বারস্থ হন। কান্তি তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন।
এই প্রসঙ্গে সুন্দরবন পুলিশ জেলার সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘গত ৩০ জানুয়ারি একটি অভিযোগ দায়ের হয় রায়দিঘি থানায়। চার্জশিটও গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু তার পরে আর কোনও অভিযোগ আসেনি। নতুন করে অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy