তরুণীকে দিন কয়েক আগে জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল এক যুবক। তাকে বিয়ে করতে হবে, এই ছিল দাবি। মহিলার চিৎকারে লোক জড়ো হয়ে গেলে পালায় সে। বলে যায়, বিয়ে না করলে গুলি করে মারবে। না হলে সেতু থেকে ফেলে দেবে নদীর জলে।

ওই রাতেই মহিলার বাড়িতে ঢুকে ঘুমন্ত শিশুর পাশেই তাঁকে ওই যুবক ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। সঙ্গী ছিল আরও এক জন।

গত শুক্রবার বসিরহাটের দন্ডিরহাট এলাকা ঘটনা। রবিবার স্বামীর সঙ্গে থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করেন তরুণী। মূল অভিযুক্ত আলিম মণ্ডল এবং তার সঙ্গী সালাউদ্দিন গাজি ওরফে ভোলাকে খুঁজছে পুলিশ। গণধর্ষণ এবং আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে খুনের হুমকির মামলা রুজু হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মহিলার স্বামী কর্মসূত্রে ভিনজেলায় থাকেন। ছোট মেয়েকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে থাকেন তরুণী। সম্প্রতি স্থানীয় যুবক আলিম বাড়িতে আসে। সেই সূত্রে পরিচয় হয়। মহিলার অভিযোগ, এরপর থেকে আলিম নানা ভাবে তাঁকে উত্যক্ত করত। কুপ্রস্তাব দিত। বিয়ে করার জন্য জোরাজুরি করত। কিছু দিন ধরে রাস্তায় বেরোলে পিছু নিতে শুরু করে। আগেও বাড়িতে ঢুকে ভয় দেখিয়ে কয়েক বার ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ। তরুণীর দাবি, প্রাণভয়ে তিনি মুখ খোলেননি।

পুলিশকে ওই তরুণী জানান, শুক্রবার বসিরহাট জেলা হাসপাতালে গিয়েছিলেন তিনি। পিছু নেয় আলিম। হাসপাতাল চত্বর থেকে তাঁকে জোর করে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। লোক জড়ো হয়ে যাওয়ায় সেখান থেকে পালায় আলিম। ওই রাতেই সালাউদ্দিনকে সঙ্গে নিয়ে বাড়িতে এসে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে তরুণীকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। পরে আরও কয়েক দিন রাতে বাড়িতে ঢুকে মহিলাকে আলিম ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।

মহিলা স্বামীকে বিষয়টি জানান। শনিবার দুপুরে বাপের বাড়িতে যাবেন বলে বেরিয়েছিলেন স্বামী-স্ত্রী। অভিযোগ, সেখানেও হাজির হয় আলিম। হাত ধরে টানাটানি করে সোনার চুড়ি কেড়ে নেয়। পুলিশকে জানালে ফল ভাল হবে না বলে হুমকি দেয়।

মহিলার স্বামী এবং জামাইবাবু বলেন, ‘‘প্রথমে ভয় পেয়েছিলাম আমরাও। পরে বুঝলাম, যে ভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে, তাতে ভয় পেলে চলবে না। অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে হবে। তাই থানায় আসা।’’

অভিযুক্তদের পরিবারের অবশ্য দাবি, আলিমের সঙ্গে ভালবাসার সম্পর্ক থাকতে পারে মহিলার। ধর্ষণের মিথ্যা অভিযোগ আনা হচ্ছে।