সৌমিকা মালাকার।
স্বামীকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে সোমবার সকালে পুলিশ স্ত্রীকে গ্রেফতার করল। পেট্রাপোল থানার উত্তর ছয়ঘরিয়া এলাকার ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম সৌমিকা মালাকার। তাঁকে সোমবার বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক জেল হেফাজতের
নির্দেশ দেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ৭ জুলাই গভীর রাতে শ্বশুরবাড়ি থেকে সুরঞ্জন মালাকার নামে এক যুবকের গুলিবিদ্ধ রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি নাইন এমএম পিস্তল উদ্ধার করে। মৃতের বাবা নির্মল পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন, শ্বশুরবাড়িতে ছেলেকে মানসিক নির্যাতন করা হত। তার জেরেই ছেলে আত্মঘাতী হয়েছে। বৌমার বিরুদ্ধে নালিশ তাঁর।
তদন্তে নেমে পুলিশ সৌমিকাকে সোমবার সকালে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় ডেকে পাঠায়। জেরায় সন্তোষজনক উত্তর দিতে না পারায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর চারেক আগে উত্তর ছয়ঘরিয়ার বাসিন্দা সৌমিকাকে বিয়ে করেছিলেন সুরঞ্জন। বিয়ের পর থেকে সুরঞ্জন শ্বশুরবাড়িতেই থাকতেন। তাঁর বাবা-মা ওই বিয়ে মেনে নেননি।
সুরঞ্জন-সৌমিকারও আশান্তি লেগে থাকত। তাঁদের আড়াই বছরের একটি ছেলে আছে। ঘটনার রাতে সাড়ে ১১টা নাগাদ সুরঞ্জন মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফেরেন। ফের অশান্তি বাধে। হঠাৎই আগ্নেয়াস্ত্র বের করে নিজের মাথায় সুরঞ্জন গুলি চালিয়ে দেন বলে দাবি সৌমিকার।
সুরঞ্জনের পরিবারের দাবি, সৌমিকার একাধিক বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্ক ছিল। ছেলে তা জানতে পেরেছিল বলে তাকে মানসিক ভাবে নির্যাতন করা হচ্ছিল। শ্বশুরবাড়ির লোকজনই ছেলেকে মরতে বাধ্য করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy