প্রতীকী ছবি।
শহরের অলিগলি ঘুরে জুতো-ছাতা সারাইয়ের কাজ করেন তাঁরা। বিয়ে বাড়িতে ব্যান্ড বা বিভিন্ন পুজোয় ঢাকও বাজান। কিন্তু লকডাউনের জেরে রোজগার বন্ধ। ফলে পেটে টান পড়েছে বারুইপুরের পিয়ালি দাসপাড়ার প্রায় চল্লিশটি পরিবারের। আদতে সুন্দরবনের গোসাবা, সাতজেলিয়া, লাহিড়িপুর, বালি, কচুখালি দ্বীপের বাসিন্দা হলেও পেশার তাগিদে থাকেন পিয়ালিতে। অভিযোগ, রেশন কার্ড না থাকায় রেশনও পাচ্ছেন না। মেলেনি কোনও সরকারি সাহায্যও।
দাসপাড়ার বাসিন্দারা জানান, জন্মের প্রমাণপত্র, রেশন কার্ড সবই গোসাবা ব্লকের। ফলে ওই রেশন কার্ডে এখান থেকে রেশন পাচ্ছেন না। স্থানীয় দু’টি ক্লাব থেকে কিছু সাহায্য দিয়েছিল বেশ কিছু দিন আগে। কিন্তু আর কিছুই মেলেনি।
মূলত কলকাতার বাঘাযতীন, গড়িয়া, ঢাকুরিয়া, বালিগঞ্জ এলাকায় ঘুরে ঘুরে জুতো, ছাতা সারাই করে নিজেদের জীবিকা নির্বাহ করেন এঁরা। দিনে ২০০-৫০০ টাকা পর্যন্ত রোজগার হত। বিয়ের মরসুমে কিছু বেশি রোজগারের পথ থাকত। কিন্তু লকডাউন ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই এঁদের আয়ের পথ সম্পূর্ণ বন্ধ। বিয়ে বাড়ি, পুজোর বায়না একের পর এক বাতিল হয়েছে। লকডাউন চলায় বাড়ির বাইরে বেরিয়ে জুতো সেলাই, পালিশ কিংবা ছাতা সারাইও করতে পারছেন না তাঁরা। এই পরিস্থিতিতে সুন্দরবনের গোসাবায় ফিরে একদিকে যেমন রেশন নিতে পারছেন না তেমনি এই এলাকায় সে ভাবে কোনও সাহায্যও পাচ্ছেন না।
খোকন দাস, পঞ্চা দাস, মানিক দাসরা বলেন, ‘‘যেটুকু জমানো টাকা ছিল, সব শেষ। সন্তানদের নিয়ে খুব সমস্যায় রয়েছি। আমাদের রেশন কার্ড এখানকার না হওয়ায় রেশন পাচ্ছি না।’’ স্থানীয় চম্পাহাটি পঞ্চায়েতের সদস্য দিপু গায়েন বলেন, ‘‘আমরা বহু মানুষকে ত্রাণ দিচ্ছি। যদি কেউ সমস্যায় থাকেন আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে নিশ্চয় পাশে দাঁড়াব।’’ বারুইপুর পূর্বের বিধায়ক নির্মল মণ্ডল বলেন, ‘‘যাঁরা অভুক্ত রয়েছেন, সমস্যায় রয়েছেন তাঁরা বিডিও অফিসে এলে তাঁদের জন্য ত্রাণের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy