অভিষেকের পাশে জাহাঙ্গির। দক্ষিণ ২৪ পরগনার একটি দলীয় কর্মসূচিতে। ফাইল চিত্র।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফলতার তৃণমূল সভাপতি জাহাঙ্গির খানকে দেওয়া বিশেষ নিরাপত্তা প্রত্যাহার করে নিল রাজ্য সরকার। নবান্ন থেকে এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। জেলার রাজনীতিতে অত্যন্ত প্রভাবশালী জাহাঙ্গির। শুধু তাই নয়, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়েরও ‘ঘনিষ্ঠ’ হিসাবে পরিচিত তিনি।
রাজ্য সরকার যে জাহাঙ্গিরের নিরাপত্তা প্রত্যাহার করতে চলেছে, এ কথা রবিবার সন্ধ্যাতেই লিখেছিল আনন্দবাজার অনলাইন। সেই সময় জাহাঙ্গির আনন্দবাজার অনলাইনকে জানিয়েছিলেন, “আমি এমন কিছু জানি না। পুলিশের তরফ থেকে আমাকে এ নিয়ে কিছু জানানো হয়নি।” এর পর নবান্ন থেকে সরকারি নির্দেশিকা জারি হতেই আবার জাহাঙ্গিরের সঙ্গে যোগাযোগ করে আনন্দবাজার অনলাইন। তখন তিনি বলেন, ‘‘গত কালই আমার কাছে খবর আসে যে আমার ওয়াই ক্যাটেগরি নিরাপত্তা তুলে নেওয়া হচ্ছে। দল নিরাপত্তা দিয়েছিল। দল তুলে নিয়েছে। দল যা ভাল মনে করেছে তাই করেছে। দল যা সিদ্ধান্ত নেবে, এক জন সাধারণ কর্মী তা মাথা পেতে নেব।’’
কিন্তু ঠিক কী কারণে জাহাঙ্গিরের নিরাপত্তা তুলে নেওয়া হল, তা জানানো হয়নি। তবে তৃণমূূলের একাংশের দাবি, জেলার একাধিক প্রবীণ নেতা-বিধায়ক জাহাঙ্গিরের বিরুদ্ধে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। এক তৃণমূল সূত্র এ-ও জানান, জেলার এক প্রয়াত প্রবীণ বিধায়ক জাহাঙ্গিরের কারণেই শেষ দিকে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছিলেন।
২০১৪ সালে অভিযেক ডায়মন্ড হারবার থেকে কেন্দ্র থেকে সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই জাহাঙ্গিরের উত্থান শুরু হয়ে জেলার রাজনীতিতে। ফলতা, বজবজ পুরসভা এলাকায় ধীরে ধীরে তাঁর প্রভাব বাড়ে। জাহাঙ্গির ফলতার যুব তৃণমূলেরও সভাপতি। বজবজ বিধানসভা এলাকায় তৃণমূলের পর্যবেক্ষকও তিনি। অভিষেকের নির্দেশেই জাহাঙ্গিরকে বজবজ তৃণমূলের পর্যবেক্ষক করা হয়। তার পরেই জাহাঙ্গিরকে ওয়াই ক্যাটেগরির নিরাপত্তা দেয় নবান্ন। এই শ্রেণির নিরাপত্তায় আটজন করে ব্যক্তিগত দেহরক্ষী দেওয়া হয়। যাঁদের মধ্যে এক থেকে দু’জন কম্যান্ডো থাকে। সেই নিরাপত্তাই এ বার ফিরিয়ে নেওয়া হল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy