Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
বেলাগাম গ্রাম, সংযত শহর
Kali Puja

পুলিশের দেখা নেই গ্রামে, নাগাড়ে বাজি 

শনিবার সন্ধ্যা নামতেই গ্রামীণ এলাকাগুলিতে শুরু হয় শব্দবাজির তাণ্ডব। বিশপুর, দুর্গাপুর, ধরমবেড়িয়া, বায়লানি এলাকায় দেদার বাজি ফেটেছে। আতশবাজিও পুড়েছে প্রচুর। ধোঁয়ায় ঢেকে যায় বাতাস।

হাসনাবাদের গ্রামীণ এলাকায় দেদার পুড়ল বাজি। নিজস্ব চিত্র।

হাসনাবাদের গ্রামীণ এলাকায় দেদার পুড়ল বাজি। নিজস্ব চিত্র।

নবেন্দু ঘোষ
হাসনাবাদ শেষ আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০২০ ০১:৪৬
Share: Save:

বাজি ফাটানো নিয়ে নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ করছে কিনা কেউ, তা দেখতে গ্রামীণ এলাকায় পথে নামল না পুলিশ। কার্যত মানুষের ‘সচেতনতার’ উপরেই ছেড়ে দেওয়া হল বিষয়টি। আর সেই সুযোগকে ব্যবহার করে হাসনাবাদের গ্রামের দিকে দেদার ফাটল বাজি। শব্দবাজিও ছিল। বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, অন্যবারের থেকে হয় তো কম, কিন্তু বাজির দাপট ছিল ভা রকমই। পুলিশের দাবি, প্রত্যন্ত গ্রামে নজরদারি চালানোর মতো পরিকাঠামো নেই। তবে শহরের দিকে পুলিশ ছিল। বাজির দাপটও ছিল তুলনায় অনেক কম।

শনিবার সন্ধ্যা নামতেই গ্রামীণ এলাকাগুলিতে শুরু হয় শব্দবাজির তাণ্ডব। বিশপুর, দুর্গাপুর, ধরমবেড়িয়া, বায়লানি এলাকায় দেদার বাজি ফেটেছে। আতশবাজিও পুড়েছে প্রচুর। ধোঁয়ায় ঢেকে যায় বাতাস। গত কয়েক দিনে এলাকায় সব বাজারেই কমবেশি বাজি পাওয়া যাচ্ছিল। কোথাও সামান্য আড়াল রেখে, কোথাও দোকানের সামনেই খোলামেলা ভাবে সাজিয়ে রাখা হয়েছিল বাজির পসরা। হেমনগর থানার যোগেশগঞ্জ বাজারে আদালতের রায়ের পরেও প্রকাশ্যে বাজি বিক্রি হতে দেখা গিয়েছে। বায়লানি বাজারেও প্রচুর বাজি রাস্তার পাশেই মজুত করা ছিল। বিক্রিও হয়েছে। পুলিশের তরফ থেকে কোনও বাজি উদ্ধার করা হয়নি। পুলিশ গিয়ে একবার দোকানিদের বাজি বিক্রি করতে নিষেধ করে এসেছিল বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেল। তবে বাজি বন্ধে ওটুকুই ছিল ‘তৎপরতা।’ তাতে বিক্রি বন্ধ হয়েছে বলে শোনা যায়নি। হাসনাবাদ থানার দুর্গাপুর গ্রামের এক বাসিন্দা বুক ফুলিয়েই জানালেন, সন্ধে থেকে শব্দবাজি ফাটিয়েছেন। বায়লানি বাজার থেকে শব্দবাজি কিনেছিলেন। রাস্তায় দাঁড়িয়ে তাঁর মতো অনেকেই সন্ধে থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত বাজি ফাটিয়ে মজা করেছেন। ওই ব্যক্তির কথায়, ‘‘পুলিশের ভয় ছিল না। গ্রামে পুলিশের ভয় নেই। ও সব শহরে হয়।’’ বায়লানি বাজারের কোনও কোনও বাজি বিক্রেতা জানালেন, বাজি সব বিক্রি না হলে পরের বছর সেগুলো বিক্রি না-ও হতে পারে। তাই এ বার কার্যত কেনা দামেই অনেক বাজি ছেড়ে দিয়েছি। লাভের আশা করিনি আদালতের রায়ের পরে।’’

হেমনগরের পাঠঘরা, হিঙ্গলগঞ্জ থানার রমাপুর গ্রামেও প্রচুর শব্দবাজি ফাটে বলে স্থানীয় সূত্রের খবর। এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘আতশবাজির দাম বেশি। তাই শব্দবাজিই কিনেছিলাম।’’ সন্দেশখালি থানার খুলনা, আতাপুর, ধুচনিখালি, কোরাকাটি, তুসখালি এলাকাতেও ফেটেছে বাজি।

অন্য বিষয়গুলি:

Kali Puja Crackers Hasnabad
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy