দেগঙ্গায় শনিবার মৃত ইমরান মোল্লার দেহ নিয়ে বিক্ষুব্ধ জনতা। ছবি: সজলকুমার চট্টোপাধ্যায়
বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে মৃত পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র ইমরান মোল্লার মৃত্যু কী ভাবে হল সে প্রশ্ন তুলে এলাকায় বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় মানুষ। ওই ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবিতে শনিবার বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিক ও পুলিশের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখান দেগঙ্গার পশ্চিম হাদিপুর এলাকার মহিলা-পুরুষেরা। শুধু তাই নয়, রাস্তার উপরে কাঠের গুঁড়ি ফেলে অবরোধও করেন বিক্ষোভকারীরা। এ দিন বিকেলে ময়না-তদন্তের পরে ছাত্রটির দেহ এলাকায় নিয়ে আসা হলে দোষীদের না ধরা পর্যন্ত ইমরানকে দাফন (মাটি চাপা দেওয়া) করা হবে না বলেও দাবি ওঠে। পরে দেগঙ্গা থানার পুলিশ তদন্ত করে দোষীকে গ্রেফতারের আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ ওঠে।
শুক্রবার দুপুরে হাদিপুরের খেলার মাঠে পড়ে থাকা বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে মারা যায় ইমরান মোল্লা (১১) নামে ছাত্রটি। তাকে বাঁচাতে গিয়ে জখমও হন এক জন। সেই সময়ে ওই এলাকার রাস্তায় হাইটেনশন লাইনের কাজ চলছিল। সেই সময়ে মাঠ সংলগ্ন জায়গায় এক শিক্ষকের বাড়ি থেকে আসা বিদ্যুতের তার থেকে ওই বিপত্তি ঘটে বলে অভিযোগ ওঠে। এর পরে রাতে ওই শিক্ষকের বাড়িতে বিদ্যুতের কাজের জন্য এক কর্মী এলে তাঁকে ধরে ফেলে জনতা। প্রমাণ লোপাটের চেষ্টার অভিযোগে তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
এর পরে শনিবার রাস্তায় কাঠের গুঁড়ি ফেলে, মাইক বেঁধে দোষীদের শাস্তির দাবিতে বেড়াচাঁপা-হাড়োয়া রোড অবরোধ করে জনতা। তার জেরে দীর্ঘক্ষণ যানজট হয় ওই রাস্তায়।
ঘটনাস্থলে আসেন বেড়াচাঁপা বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থার আধিকারিক। আসে দেগঙ্গা থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। তাদের গাড়ি ঘিরে ধরে চলে বিক্ষোভ। পুলিশের পায়ে পড়ে কাঁদতে কাঁদতে ইমরানের মৃত্যুর জন্য দায়ীদের শাস্তির আবেদন জানান মা শাহানারাবিবি। বিকাল সাড়ে তিনটে নাগাদ ইমরানের দেহ এসে পৌঁছয় এলাকায়। হাদিপুর-চুবড়িঝড়া স্কুলের সামনে রাস্তার উপরে দেহ রেখে চলে বিক্ষোভ। এ দিন পুলিশ আধিকারিকেরা ছাত্রের পরিবারকে কথা দেন অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার করা হবে। তার পরেই ওই ছাত্রের দেহ কবর দেওয়া হয়। সন্ধ্যার পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যায়।
এ দিন ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থার বেড়াচাঁপার আধিকারিক সুপ্রিয় দত্ত বলেন, ‘‘গোটা ঘটনাটি এবং মানুষের অভিযোগ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। সেই মতো ব্যবস্থা হবে।’’ ঘটনার তদন্ত চলছে জানিয়েছে পুলিশও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy