এই রাস্তা নিয়েই ক্ষোভ গ্রামবাসীর, গ্রামের মানুষের সঙ্গে শান্তনু ঠাকুর। ছবি দু’টি তুলেছেন নির্মাল্য প্রামাণিক
কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের গাড়ি থামিয়ে পাকা রাস্তার দাবি জানালেন গ্রামের কিছু মহিলা। রবিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে বনগাঁ ব্লকের চাঁদা এলাকার জামতলায়।
শান্তনু এ দিন দুপুরে বনগাঁ-বাগদা সড়ক ধরে বাগদার আউলডাঙা এলাকায় দলীয় কর্মসূচিতে যাচ্ছিলেন। রাস্তা দিয়ে মন্ত্রী যাবেন জানতে পেরে গ্রামের মহিলারা পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। মন্ত্রীর গাড়ি আসতে দেখেই তাঁরা গাড়ি থামান। মন্ত্রী কনভয় থামিয়ে গাড়ি থেকে নেমে আসেন। সঙ্গে ছিলেন বনগাঁ পুরসভার বিজেপি কাউন্সিলর দেবদাস মণ্ডল।
মহিলারা হাতজোড় করে মন্ত্রীর কাছে এলাকার একটি বেহাল রাস্তার সমস্যার কথা জানান। এলাকায় পঞ্চায়েত সদস্য বিজেপির বলে রাস্তাটি সংস্কার হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন। রাস্তাটি সংস্কারের দাবিতে মন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেন তাঁরা।
শান্তনু রাস্তাটি ঘুরে দেখেন। রাস্তার জন্য সাংসদ তহবিল থেকে টাকা মঞ্জুর করবেন বলে আশ্বাস দেন।
গ্রামবাসীর দাবি, রাস্তাটি বাম আমলে তৈরি হয়েছিল। ঝামা ও ইটের রাস্তা ছিল। এখন ঝামা ইট, ভেঙে গিয়ে মাটির রাস্তায় পরিণত হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাস্তাটি জামতলা থেকে হরিতলা পর্যন্ত। এর মধ্যে দেড় কিলোমিটার অংশ বেহাল।
এক মহিলার কথায়, “আমরা রাজনীতির শিকার। পঞ্চায়েত থেকে বলা হয়েছে, আগে তৃণমূলকে ভোট দিয়ে জেতাও। তারপরে রাস্তা করা হবে।”
শান্তনু বলেন, “বনগাঁ লোকসভা এলাকায় এখনও কাঁচা রাস্তা আছে। এটা দুঃখের। গত দু’বছর আমরা সাংসদেরা কেউ তহবিলের টাকা খরচ করতে পারিনি। পঞ্চায়েত বলেছে, আগে ভোট দিতে হবে। তারপরে রাস্তা করবে। আমি তহবিলের টাকা রাস্তার জন্য মঞ্জুর করে দিচ্ছি। এখন গ্রামবাসীদের পঞ্চায়েতকে দিয়ে ওই কাজ করিয়ে নিতে হবে। প্রয়োজনে আমিও তাঁদের সঙ্গে থাকব।”
এ বিষয়ে বনগাঁ পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ তৃণমূলের সৌমেন দত্ত বলেন, “আমাদের মুখ্যমন্ত্রী এমন কোনও নির্দেশ দেননি যে বিজেপি বা সিপিএমের সদস্য থাকলে রাস্তা করা যাবে না। আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। সব জায়গায় সমান ভাবে উন্নয়ন করি। পঞ্চায়েত ভোটের আগে সাংসদ পরিকল্পিত ভাবে রাজনৈতিক চমক দিতে চেষ্টা করছেন।”
ওই রাস্তাটি প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, “বিএডিপি প্রকল্পে ওই রাস্তাটি পিচের করার জন্য অনেক দিন আগেই আমরা প্রস্তাব পাঠিয়েছি। ২০১৯-২০ সাল থেকে বিএডিপি প্রকল্পে রাস্তার কাজের জন্য কোনও টাকা পায়নি। মাঝে কিছু টাকা পাওয়া গিয়েছিল। তা কমিউনিটি হল ও পানীয় জলের টিউবওয়েলের জন্য। টাকা না পাওয়ায় ৮৬টি রাস্তার কাজ আটকে আছে। ওই রাস্তাটির জন্য সাংসদ টাকা দিলে খুব ভাল কথা। সাংসদ আমাদের কাছে প্রকল্পের খরচ জানতে চাইলে আমরা তা তৈরি করে তাঁকে দিয়ে দেব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy