পূর্ণিমার কটালে জল বেড়েছে নদী-সমুদ্রে। তার জেরে সোমবার ভোরে সাগরের কশতলা এলাকায় হুগলি নদী বাঁধে ধস নামে। স্থানীয় সূত্রের খবর, প্রায় ১৫০ ফুট এলাকা জুড়ে ধসে যায় বাঁধ। কিছু দিন আগেই ধস নেওয়া জায়গা থেকে কিছুটা দূরে বাঁধে ধস নেমেছিল। এ দিন ধস নামার পাশাপাশি বাঁধের কিছু অংশে ফাটলও দেখা দিয়েছে। বারবার নদী বাঁধে ধসে আতঙ্কিত এলাকার মানুষ। প্লাবণের আশঙ্কা করছেন অনেকেই। বাঁধের কাছাকাছি থাকা বাসিন্দারা ইতিমধ্যেই বাড়ির জিনিসপত্র অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যেতে শুরু করেছেন। বাসিন্দারা জানান, দ্রুত বাঁধ মেরামত না হলে ধানের জমি, পানের বরজ কিছুই বাঁচানো যাবে না।
এ দিন দুপুর থেকেই বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু করে সেচ দফতর। রিং বাঁধ তৈরি করা হয়। সাগরের বিডিও কানাইয়াকুমার রায় বলেন, “সেচ দফতরকে বলেছি, আপৎকালীন ভাবে বাঁধ মেরামতির জন্য।”
তবে বারবার বাঁধে ধস নামায় ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা কংক্রিটের বাঁধের দাবি তোলেন। বাসিন্দাদের একাংশ বাঁধ মেরামতির কাজে বাধাও দেন। স্থানীয় বাসিন্দা মমতা সাউ বলেন, “আমরা চাই কংক্রিটের নদী বাঁধ তৈরি করা হোক। প্রতিবারে বাঁধে ধস নামে। নামমাত্র কাজ করা হয়। এইভাবে চলতে থাকলে, ভবিষ্যতে আমাদের ভিটে মাটি হারা হতে হবে।”
এলাকার বিধায়ক তথা সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা বলেন, “সেচ দফতর দ্রুত কাজ শুরু করেছে। এলাকায় যাতে নোনা জলে না ঢোকে, তা দেখা হচ্ছে। কংক্রিটের বাঁধ তৈরির জন্য ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে।”
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)