Advertisement
২৪ নভেম্বর ২০২৪

শিশুর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত এলাকা

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই শিশুর মা বিয়ের পরে স্বামীর সঙ্গে ভিনরাজ্যে থাকতেন। সেখানেই তাঁদের দুই ছেলেমেয়ে হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, মহিলার সঙ্গে এক যুবকের সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা 
ভাঙড় শেষ আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০১:৩৪
Share: Save:

বছর তিনেকের শিশুকন্যার মৃত্যুতে উত্তপ্ত হল এলাকা। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ঘুটিয়ারিশরিফের পিয়ালিতে। পুলিশ পরিস্থিতি সামলাতে গেলে ইট-পাটকেল ছোড়ে জনতা। সাব ইন্সপেক্টর দীপঙ্কর মণ্ডল-সহ বেশ কয়েক জন পুলিশকর্মী, সিভিক ভলান্টিয়ার জখম হন। ভাঙচুর করা হয় পুলিশের একটি গাড়ি। পুলিশ লাঠি নিয়ে উত্তেজিত জনতাকে তাড়া করে ছত্রভঙ্গ করে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই শিশুর মা বিয়ের পরে স্বামীর সঙ্গে ভিনরাজ্যে থাকতেন। সেখানেই তাঁদের দুই ছেলেমেয়ে হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, মহিলার সঙ্গে এক যুবকের সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। তাঁকে বিয়ে করে দুই সন্তানকে নিয়ে মহিলা ঘুটিয়ারিশরিফে চলে আসেন। মহিলার দাবি, মেয়ে মাঝেমধ্যে অজ্ঞান হয়ে যেত। অসুস্থ ছিল। পুলিশকে তিনি জানিয়েছেন, রাতে মেয়েকে ঘুম পাড়িয়ে পাশের বাড়িতে গিয়েছিলেন। সে সময়ে তাঁর স্বামী ডাকাডাকি শুরু করেন। মহিলা এসে দেখেন, মেয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা স্থানীয় এক চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। শিশুটিকে মৃত বলে জানান চিকিৎসক। ঘটনার কথা জানাজানি হতেই স্থানীয় লোকজন ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁদের অভিযোগ, সৎ বাবাই শ্বাসরোধ করে খুন শিশুটিকে। পাড়ার লোকজন ওই মহিলা ও যুবকের বাড়িতে চড়াও হয়ে ভাঙচুর চালায়। যুবককে মারধরও করা হয়। পুলিশ এসে যুবককে উদ্ধার করতে গেলে জনতা ইট ছোড়ে। পুলিশ জানিয়েছে, প্রহৃত যুবককে ঘুটিয়ারিশরিফ ব্লক হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। শিশুটির দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।

প্রতিবেশীরা বলেন, ‘‘ওই যুবক সৎ মেয়েকে সহ্য করতে পারত না। ছোট্ট শিশুকে প্রায়ই মারধর করত।’’ যদিও সে কথা মানছেন না শিশুটির মা। তিনি বলেন, ‘‘আমার প্রথম স্বামী অত্যাচার করত। তার হাত থেকে বাঁচাতে আমাকে ওই যুবক বিয়ে করেছিল। ওর পরিবারও আমাকে এবং আমার সন্তানদের মেনে নিয়েছিল। আমার মেয়ে এমনিতেই অসুস্থ ছিল। স্বামীর নামে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।’’

পুলিশ জানিয়েছে, এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ হয়নি। তবে পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া, মারধর ও সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর করার ঘটনায় একটি মামলা রুজু হয়েছে। কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি।

অন্য বিষয়গুলি:

Death Child Violence
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy