প্রতীকী ছবি।
রেললাইনে কাজ করার সময়ে চলন্ত ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হল এক রেলকর্মীর। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে পলতা এবং ইছাপুর স্টেশনের মাঝখানে। মৃতের নাম রামেশ্বর যাদব (৪১)। তিনি ব্যারাকপুরে গ্যাংম্যান পদে কর্মরত ছিলেন।
এ দিন সকালে এই ঘটনার পরে অন্য গ্যাংম্যানেরা তাঁর দেহ আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের অভিযোগ, গ্যাংম্যানদের কাজে কোনও নিরাপত্তা নেই। রেল পুলিশ এবং রেল নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানেরা পরে রামেশ্বরবাবুর দেহ উদ্ধার করে ময়না-তদন্তে পাঠান। রেল পুলিশ জানিয়েছে, এক লাইনে কাজ করতে করতে রামেশ্বরবাবু অসাবধানবশত অন্য লাইনে চলে গিয়েছিলেন।
রেল পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রামেশ্বরবাবুর বাড়ি বিহারে। এ দিন সকালে তিনি পলতা এবং ইছাপুর স্টেশনের মাঝে, ১৯ নম্বর রেলগেটের কাছে কাজ করছিলেন। সেই সময়ে পাশের লাইনে চলে যান তিনি। ওই লাইনে যে তখন ট্রেন আসছিল, তা তিনি খেয়াল করেননি। ট্রেনের ধাক্কায় লাইনের পাশে ছিটকে পড়েন রামেশ্বর। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। ওই অবস্থায় বেশ কিছু ক্ষণ সেখানেই পড়েছিলেন তিনি। স্থানীয়েরাই প্রথম তাঁর দেহটি দেখেন। কিছু ক্ষণ পরে তাঁর সহকর্মীরা সেখানে পৌঁছন। ঘটনাস্থলে পৌঁছে রেল পুলিশ দেহ তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে বাধা দেন রামেশ্বরবাবুর সহকর্মীরা। তাঁরা দেহটি আটকে রেখে বিক্ষোভ শুরু করেন।
ইস্টার্ন রেল মেন্স ইউনিয়নের ব্যারাকপুর শাখার সম্পাদক অরুণকুমার গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘গ্যাংম্যানেরা কার্যত প্রাণ হাতে নিয়ে কাজ করেন। কর্মী দিন দিন কমছে। ফলে অনেকের কাজ এক জনকে করতে হচ্ছে। এক জন কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়লে তাঁকে দেখার কেউ থাকে না। ওখানে আর এক জন কর্মী থাকলে আমাদের ভাইটা আজ বেঁচে যেত।’’ অরুণবাবু জানান, রেলের কর্মী বাড়ানোর দাবিতে তাঁদের আন্দোলন চলবে। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক নিখিল চক্রবর্তী বলেন, ‘‘খুবই দুঃখজনক ঘটনা, কী ভাবে এমন ঘটল তা দেখতে তদন্ত হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy