Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

নৈহাটি পুরসভা নিয়ে আজ রায় হাইকোর্টের 

লোকসভা ভোটে ব্যারাকপুর আসনটি খুব অল্প ব্যবধানে জেতে বিজেপি। তার পরেই ভাঙন শুরু হয় তৃণমূলে।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২২ জুলাই ২০১৯ ০২:২৬
Share: Save:

বিজেপির হাতে যাওয়া দুই পুরসভা ফের তাদের হাতে বলে দাবি করেছে তৃণমূল। তার মধ্যে হালিশহরের পুরপ্রধান অপসারণের বৈঠক করেও হাইকোর্টের নির্দেশে তার বৈধতায় প্রশ্নচিহ্ন পড়ে গিয়েছে। এরই মধ্যে নৈহাটি পুরসভা নিয়ে আজ, সোমবার হাইকোর্টের রায় ঘোষণার কথা। হালিশহর এবং কাঁচরাপাড়া পুরসভা হাতছাড়া হওয়ার পরে নৈহাটি পুরসভায় প্রশাসক বসিয়েছিল রাজ্য।

তার বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্ট গিয়েছে বিজেপি। এই অবস্থায় আদালতের রায়ে প্রশাসক বসানো যদি বৈধতা হারায়, তা হলে তৃণমূল কার্যত খুশি হবে বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। কারণ তৃণমূলের দাবি, পুরসভা দখলে রাখার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক কাউন্সিলর তাঁদের হাতে রয়েছে। অন্যদিকে বিজেপির দাবি, পুরসভা তাদের হাতেই আসবে। এই অবস্থায় সকলেই তাকিয়ে নির্দেশের দিকে।

লোকসভা ভোটে ব্যারাকপুর আসনটি খুব অল্প ব্যবধানে জেতে বিজেপি। তার পরেই ভাঙন শুরু হয় তৃণমূলে। হালিশহর এবং কাঁচরাপাড়া পুরসভার সংখ্যাগরিষ্ঠ কাউন্সিলরদের দিল্লি নিয়ে গিয়ে বিজেপিতে যোগদানের কথা ঘোষণা করা হয়। সেই সময় নৈহাটি পুরসভার কাউন্সিলরেরা তাদের দলে যোগ দিয়েছে বলে দাবি করেছিলেন বিজেপি নেতৃত্ব। এরই মধ্যে নৈহাটি পুরসভায় প্রশাসক বসানো হয়। সরকারের যুক্তি ছিল পুরপ্রধান লিখিতভাবে জানিয়েছেন তিনি পুরসভা চালাতে পারছেন না।

তৃণমূলের অভিযোগ ছিল, লোকসভা ভোটের ফল ঘোষণার পরে বিজেপির লোকরা পুরসভায় ঢুকে ভাঙচুর চালিয়েছে। ভাঙচুর করা হয়েছে পুরপ্রধানের ঘরও। এই অবস্থায় পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর প্রপ্রধান অশোক চট্টোপাধ্যায়ের কাছে পুরসভা ভেঙে দেওয়া নিয়ে মতামত চেয়েছিল। তখনই তিনি পুরসভা চালানোয় নিজের অপারগতার কথা জানিয়েছিলেন। তার পরেই প্রশাসক বসানো হয়।

গত ১৫ দিনে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের রাজনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। বিজেপিতে যোগ দেওয়া হালিশহর পুরসভার সংখ্যাগরিষ্ঠ কাউন্সিলর ফের তৃণমূলে ফিরেছেন। একই ঘটনা ঘটেছে কাঁচরাপাড়া পুরসভাতেও। তৃণমূলের দাবি, বিজেপি সম্বন্ধে দলের নেতা-কর্মীদের ভয় ভাঙতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে অনেকেই পদ্ম শিবির ছেড়ে পুরনো দলেই ফিরেছেন। ফলে বিজেপি আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। তবে বিজেপির সাংসদ অর্জুন সিংহ বলছেন, “হাইকোর্ট প্রশাসক নিয়োগ অবৈধ ঘোষণা করলেই আমরা পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনব। তখনই প্রমাণ হয়ে যাবে সংখ্যা গরিষ্ঠতা কাদের আছে। ওই পুরসভা ১০০ শতাংশ আমাদের দখলেই থাকবে।”

নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক বলেন, “কাউন্সিলরেরা সকলেই তৃণমূলের টিকিটেই জিতেছেন। বিজেপি তাঁদের ভয় দেখিয়ে দলে টেনেছে। সেই ভয় কাটতে শুরু করেছে। মানুষ প্রতিবাদ করছে। ফলে বোর্ড হাতে রাখা নিয়ে আমাদের কোনও চিন্তা নেই।”

অন্য বিষয়গুলি:

TMC BJP Naihati Municipality Calcutta High Court
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy