ফেরা: জয়ের পরে বনগাঁয় পা রাখলেন শঙ্কর আঢ্য। ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক
সংখ্যাতত্ত্বের বিচারে জয় ছিল নেহাতই সময়ের অপেক্ষা। ফলে বৃহস্পতিবার সকালে এক দিকে যখন বারাসতে অনাস্থার উপরে বৈঠক চলছে, তখন বনগাঁয় তৃণমূল শিবির উৎসবের প্রস্তুতি শুরু করেই দিয়েছিল।
গোটা শহর মুড়ে দেওয়া হয়েছিল ঘাসফুল পতাকায়। রাস্তায় লাগানো হয় পুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্য-সহ দলীয় কাউন্সিলরদের কাটআউট। মুখ্যমন্ত্রী, খাদ্যমন্ত্রী, পুরমন্ত্রীর কাটআউটও প্রচুর চোখে পড়েছে। বাঁধা হয়ে গিয়েছিল চোঙা। সকাল থেকে বেজেছে রবীন্দ্রসঙ্গীত।
দুপুরের দিকে জয়ের খবর আসতেই বনগাঁর তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা উল্লাসে মেতে ওঠেন। বাজি ফাটানো শুরু হয়। সবুজ আবির খেলায় মেতে ওঠেন অনেকে। বারাসত থেকে দলীয় কাউন্সিলরদের নিয়ে বেলা ৩টে নাগাদ যখন পুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্য ফিরলেন বনগাঁয়, তখন বৃষ্টি পড়ছে। বনগাঁ হাইস্কুলের মোড়ে শিব মন্দিরে প্রণাম সারেন পুরপ্রধান। পুরভবনে ঢুকে নিজের ঘরে টাঙানো দুর্গা ঠাকুরের ছবি সামনে দাঁড়িয়েও প্রণাম করেন। তারপরে বসেন পুরপ্রধানের চেয়ারে। পুরসভার ২২টি ওয়ার্ড থেকেই কাতারে কাতারে নেতা-কর্মী-সমর্থক ছোট-বড় মিছিল করে পৌঁছন পুরভবনের সামনে।
সেখানে মঞ্চ বাঁধা হয়েছিল। শহর তৃণমূলের পক্ষ থেকে সেখানেই পুরপ্রধান-সহ দলীয় কাউন্সিলরদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। কর্মী-সমর্থকেরা ছাড়াও বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরাও এসেছিলেন।
পুরপ্রধান শঙ্কর বলেন, ‘‘কিছু স্বার্থান্বেষী মানুষ বনগাঁর উন্নয়ন স্তব্ধ করে দিতে চাইছিলেন নিজেদের স্বার্থে। এখন থেকে মানুষকে সঙ্গে নিয়ে আরও বেশি উন্নয়নের কাজ করব। পুর নাগরিকেরা কোনও সমস্যায় সরাসরি পুরসভায় বা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। সাধ্য মতো সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করব।’’
জেলা তৃণমূল সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ‘‘বিজেপিতে চলে যাওয়া কাউন্সিলরদের মধ্যে যে সাত জন এখনও তৃণমূলে ফিরে আসেননি, তাঁদের নিয়ে আমাদের কোনও আপত্তি নেই। তাঁরা দলে ফিরতে আসতে চাইলে স্বাগত। পুরপ্রধানকে বলব, সকলকে নিয়ে উন্নয়নের কাজে মন দিতে। বনগাঁর পানীয় জলপ্রকল্প ও নিকাশি ব্যবস্থা তৈরির কাজ দ্রুত শেষ করব।’’ তৃণমূল নেতৃত্ব মনে করছেন, লোকসভা ভোটে বনগাঁ শহরে দলের ভরাডুবির পরে পুরসভার ক্ষমতা ধরে রাখতে পারায় কর্মীদের মনে বল ফিরবে।
পুরসভায় এত দিন অচলাবস্থা চলার ফলে স্বাভাবিক পরিষেবা থমকে গিয়েছিল বলে অভিযোগ। বাসিন্দারা জানালেন, তাঁরা চাইছিলেন দ্রুত শহরে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরে আসুক। অস্থিরতার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিলেন ব্যবসায়ীরাও। বাইরে থেকে ক্রেতারা শহরে আসা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। পুজোর আগে পুরসভার অচলাবস্থা কাটায় ব্যবসায়ীরাও সন্তুষ্ট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy