প্রতিবাদ: বনগাঁয়। ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক
সন্ত্রাস সৃষ্টি করে শান্ত বনগাঁকে অশান্ত করছে বিজেপি বলে অভিযোগ। এরই প্রতিবাদে বনগাঁ শহরে ধিক্কার মিছিল করল তৃণমূল।
বৃহস্পতিবার বিকেলে শহরের খেলাঘর ময়দান থেকে ওই মিছিল শুরু হয়। বাটারমোড়ে মিছিল শেষ হয়। তৃণমূলের নেতা কর্মী-সমর্থক ও পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলরেরা মিছিলে হাঁটেন। বনগাঁ শহর তৃণমূল আয়োজিত ওই মিছিলে বনগাঁ শহর ছাড়াও গাইঘাটা গোপালনগর-সহ মহকুমার দূর দূরান্ত থেকে কর্মী সমর্থকেরা যোগ দেন ওই মিছিলে। তৃণমূলের বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান গোবিন্দ দাস, জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক গোপাল শেঠ, জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি রতন ঘোষও ছিলেন মিছিলে।
এ দিনের মিছিলে মহিলা কর্মীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। গোপাল বলেন, ‘‘বিজেপির নাম করে নব্য বিজেপিরা বনগাঁকে অশান্ত করে তুলেছে। পুর পরিষেবা বন্ধ করে দিতে চাইছে। গুন্ডামি করছে। সমাজবিরোধীদের এনে শহরে তাণ্ডব চালাচ্ছে।’’ এ দিন মিছিল থেকে দলত্যাগী কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে স্লোগান তোলা হয়। তাঁদের গদ্দার হিসাবে দাবি করা হয়। গোপালের দাবি, ‘‘বিজেপিতে যোগদান করা কাউন্সিলরেরা দলত্যাগের নিয়ম মেনে দলত্যাগ করেননি। ওদের কাউন্সিলর পদ বাতিলের দাবিতে মহকুমাশাসকের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে। শীঘ্রই শুনানি শুরু হবে। ওই কাউন্সিলরদের অধিকার নেই অনাস্থা প্রস্তাবের উপর বৈঠক করার। ওরা উচ্চ আদালতকে বিভ্রান্ত করছেন।’’
যা শুনে বিজেপিতে যোগদান করা অন্যতম কাউন্সিলর মনোতোষ নাথ বলেন, ‘‘উনি সরকারি নিয়মকানুন কিছু জানেন না। মোট সদস্যদের এক তৃতীয়াংশ সদস্য যখন একসঙ্গে দলত্যাগ করেন তখন তাঁরা দলত্যাগ আইনে পড়েন না। আমরা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনেই অনাস্থা প্রস্তাবের উপর বিশেষ বৈঠক করেছি নিয়ম মেনেই।’’
বিজেপির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগের বিষয়ে বিজেপির বারাসত সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি দেবদাস মণ্ডল বলেন, ‘‘বনগাঁ শহরে কারা সন্ত্রাস সৃষ্টি করেছে তা শহরের মানুষ জানেন এবং দেখছেন। বাইরে থেকে তৃণমূল দুষ্কৃতীদের নিয়ে এসে সন্ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। এর প্রতিবাদেই বুধবার আমরা শহরে মিছিল করেছি।’’
এ দিকে মঙ্গলবার পুরসভায় অনাস্থা প্রস্তাবের উপর ভোটাভুটির সময় বিজেপির নেতা-কর্মীরা ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে বেআইনি ভাবে জমায়েত হয়েছিল, এই অভিযোগ তুলে পুলিশের তরফে স্বস্তঃস্ফূর্ত মামলা করা হয়েছে দেবদাস-সহ আরও কিছু বিজেপি নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বেআইনি জমায়েত, পুলিশকে মারধর এবং সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করার অভিযোগ আনা হয়েছে। যা জামিন অযোগ্য। দেবদাস বলেন, ‘‘তৃণমূল পুলিশকে দিয়ে মিথ্যে মামলায় আমাদের ফাঁসিয়েছে। ওই দিন তৃণমূলই মারধর, ভাঙচুর করেছে। ওদের ছোড়া বোমায় আমাদের কয়েকজন কর্মী গুরুতর জখম হয়েছেন।’’
তবে বনগাঁয় এখনও বোমা আগ্নেয়াস্ত্র হাতে দুষ্কৃতীদের আনাগোনা দেখা যাচ্ছে। বাসিন্দারাদের অভিযোগ, পুলিশ বহিরাগত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করছে না। বড় কোনও ঘটনা ঘটলে তার দায় কে নেবেন? শহরবাসী চাইছেন, দ্রুত সুস্থ স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরুক শহরে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy