প্রতীকী ছবি।
এক বিজেপি কর্মীকে মারধরের ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছিল টিটাগড়ে। সেই ঘটনার পরে দু’দিন কাটতে না কাটতেই তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর-বোমাবাজিতে ফের উত্তপ্ত হল টিটাগড়ের জিসি রোড এলাকা। তৃণমূল যথারীতি এই ঘটনার দায় বিজেপির উপরেই চাপিয়েছে। বিজেপির পাল্টা দাবি, এটা তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্বের ফল। ঘন ঘন রাজনৈতিক গোলমালের জেরে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে এলাকায়।
ব্যারাকপুর পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী তৃণমূল কাউন্সিলর নওসাদ আলমের বাড়ি টিটাগড়ের জিসি রোডে। তাঁর বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে তৃণমূলের ওই দলীয় কার্যালয়। নওসাদ জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দলীয় কর্মীদের নিয়ে তিনি ওই কার্যালয়ে বসে ছিলেন। সেখানে এলাকার বেশ কয়েক জনের স্বাস্থ্যসাথীর ফর্ম পূরণের কাজ চলছিল। নওসাদের অভিযোগ, সেই সময়ে তাঁর বাড়ির সামনে বোমাবাজি শুরু করে কয়েক জন দুষ্কৃতী।
অভিযোগ, বোমার আওয়াজ পেয়ে তাঁরা পার্টি অফিস থেকে বাড়ির দিকে যেতেই দুষ্কৃতীরা তৃণমূলের কার্যালয়ে হামলা চালায়। আসবাবপত্র ভেঙে দেওয়া হয়। ছিঁড়ে ফেলা হয় দলীয় ব্যানার ও ফ্লেক্স। এমনকি, স্বাস্থ্যসাথীর আবেদনপত্রও ছিঁড়ে ফেলে দেয় দুষ্কৃতীরা। নওসাদ বলেন, “আমরা তাড়া করতেই দুষ্কৃতীরা পার্টি অফিসের সামনে বোমা মেরে পালিয়ে যায়। দৌড়ে পালানোর সময়ে এক দুষ্কৃতীর পকেট থেকে পিস্তল পড়ে যায়। বিজেপি ভয় দেখিয়ে আমাদের লোককে দলে টানার চেষ্টা করছে। প্রায় ৫০-৬০ জন দুষ্কৃতী ছিল। মানুষ এই গুন্ডাগিরি মেনে নেবেন না।”
টিটাগড় থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই পিস্তলটি উদ্ধার করেছে। বিজেপির ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি উমাশঙ্কর সিংহ বলেন, “এই ঘটনার সঙ্গে বিজেপির কোনও যোগ নেই। তৃণমূলের গোষ্ঠী-কোন্দলে হামলার ঘটনা ঘটেছে।” নওসাদ টিটাগড় থানায় নির্দিষ্ট অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত শুরু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy