টলিপাড়ার তিন অভিনেত্রীর মৃত্যুতে দুঃখপ্রকাশ করেন নুসরত। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
পল্লবী দে, বিদিশা দে মজুমদার, মঞ্জুষা নিয়োগী, গত দু’সপ্তাহে তিন অভিনেত্রী ও মডেলের অস্বাভাবিক মত্যু ঘিরে ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। প্রাথমিক ভাবে তিনটি মৃত্যুই আত্মহত্যা বলে মনে করছে পুলিশ। অভিনেত্রী তথা সাংসদ নুসরত জাহানের দাবি, দ্রুত শিখরে পৌঁছনোর ইচ্ছা, উচ্চাকাঙ্ক্ষা ইত্যাদি ডেকে আনছে মানসিক অসুখ। বাসনা না মিটলেই মানসিক যন্ত্রণা। সেখান থেকে হয়তো চরম সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন পল্লবী, বিদিশারা।
শুক্রবার বসিরহাট ১ নম্বর ব্লকের সোলাদানা বাজারে রক্তদান শিবির অনুষ্ঠানে যোগ দেন অভিনেত্রী-সাংসদ নুসরত। তিনি বলেন, ‘‘অভিনেত্রীদের মৃত্যু রীতিমতো দুঃখজনক। এই রকম কাজ যেন কেউ না করেন, ভগবানের কাছে এই প্রার্থনা করি।’’ নুসরত যোগ করেন, ‘‘ইদানীং একটি প্রবণতা দেখা দিচ্ছে। নতুন প্রজন্মের অভিনেত্রীদের উচ্চাকাঙ্ক্ষা, বিলাসিতা, শিখরে পৌঁছতে গিয়ে তা না পেয়ে মানসিক যন্ত্রণা। তার পর সেখান থেকে মুক্তি পেতে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন অনেকে। এটা খুবই দুঃখের। আর কেউ যেন এমনটা না করেন।’’
বিদিশার নিথর দেহ মিলেছে বুধবার বিকেলে। ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁকে প্রথম দেখেন ফ্ল্যাটমেট এবং হাতেগোনা কয়েক জন কাছের বন্ধু।
গত ১৫ মে দক্ষিণ কলকাতার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় টেলি অভিনেত্রী পল্লবীর দেহ। বুধবার অভিনেত্রী-মডেল বিদিশার মৃত্যুর পর শুক্রবার সকালে পাটুলির বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় অভিনেত্রী মঞ্জুষার দেহ। এই ঘটনার প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে এমনই মন্তব্য করেন নুসরত।
অন্য দিকে, সম্প্রতি সাংসদ নুসরতের নামে নিখোঁজ পোস্টার পড়েছিল হাড়োয়া বিধানসভা এলাকায়। এ নিয়েও প্রতিক্রিয়া দেন সাংসদ। বলেন, ‘‘লোকসভা কেন্দ্রে সাতটা বিধানসভা রয়েছে। প্রতি দিন কিছু না কিছু কাজ করতে হয়। কেউ যদি আমার ছবি লাগিয়ে সংবাদমাধ্যমে বিক্রি করে লাভ পায়, তাতে আমার কী অসুবিধা!’’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘যাঁরা নিখোঁজের পোস্টার দিয়েছিলেন, তাঁরাই নিখোঁজ হয়ে বসে আছেন। তাঁদের আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy