জুতো হাতে ভাঙড়ের রাস্তায় মিমি চক্রবর্তী। —নিজস্ব চিত্র।
আমপানের সময় নিজের নির্বাচনী কেন্দ্রের বাসিন্দাদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন যাদবপুরের তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। ইয়াসের সময়েও দেখা গিয়েছিল তাঁকে। ফের সেই দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি। রবিবার রাত থেকে বিরামহীন বৃষ্টির জেরে ভাসছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের বিভিন্ন এলাকা। সোমবার বিকেলে ওই এলাকায় যান মিমি। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তাঁদের হাতে তুলে দেন খাবার।
রবিবার রাত থেকে অবিরাম বৃষ্টির জেরে দক্ষিণ জেলার অন্যান্য জায়গার মতোই জলে ভাসছে ভাঙড় বিধানসভার বিভিন্ন জায়গা। সোমবার বিকেলে বৃষ্টির তোড় কিছুটা কমতেই জলবন্দি এলাকা পরিদর্শনে যান যাদবপুরের সাংসদ। জলমগ্ন ভাঙড়ের ভোজেরহাট এলাকায় প্রথমে যান মিমি। শতাধিক মানুষ এবং শিশুদের হাতে শুকনো খাবার এবং ত্রিপল তুলে দেন যাদবপুরের সাংসদ।
ভোজেরহাট থেকে মিমি যান প্রাণগঞ্জ পঞ্চায়েতের মরিচা গ্রামে। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ভাঙড় এক নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি কাইজার আহমেদ এবং সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি আহেদালি শেখ। মরিচায় জলবন্দি মানুষের কাছে পৌঁছতে জুতো হাতে নিয়ে কাদার উপর দিয়ে হাঁটতে শুরু করেন তৃণমূল সাংসদ। জলমগ্ন রাস্তা পেরিয়ে তিনি পৌঁছন স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে। পরে সেখান থেকে ব্যাওতা, চড়িশ্বর এবং পাইকান এলাকাও ঘুরে দেখেন তিনি। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে দেখা করে মিমি বলেন, ‘‘মানুষ জলবন্দি হয়ে পড়েছেন এই খবর পেয়েই শুকনো খাবার এবং ত্রিপল নিয়ে ছুটে এসেছি।’’ ভাঙড়ের বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখার পাশাপাশি নিকাশি ব্যবস্থা কী ভাবে উন্নত করা যায় তা নিয়েও স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলেন মিমি। ভাঙড়ে দ্রুত স্থায়ী নালা তৈরির আশ্বাসও দেন।
মিমির মতোই তৃণমূলের তারকা সাংসদের তালিকায় রয়েছেন আর এক অভিনেত্রী নুসরৎ জাহান। সম্প্রতি পুত্রসন্তানের জন্ম দিয়েছেন তিনি। মা হওয়ার পর থেকে বসিরহাটের ওই সাংসদ ব্যস্ত যদিও ছেলেকে নিয়ে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy