ভাঙড়ে রোগীকল্যাণ সমিতির বৈঠকে মিমি চক্রবর্তী। নিজস্ব চিত্র
পর্যাপ্ত চিকিৎসক নেই, পানীয় জলের সমস্যা, হাসপাতাল চত্বর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন নয়— এমন নানা অভিযোগে যাদবপুরের সাংসদ তথা ভাঙড়ের নলমুড়ি হাসপাতালের রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান মিমি চক্রবর্তীর সামনে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন মানুষজন।
সম্প্রতি রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান নিযুক্ত হয়েছেন মিমি। বুধবার তিনি সমিতির বৈঠকে যোগ দিতে আসেন। চেয়ারম্যান নিযুক্ত হওয়ার পরে এই নিয়ে গত ছ’মাসে দ্বিতীয় বার এলেন হাসপাতালে। মিমি ছাড়াও এ দিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ভাঙড় ১ বিডিও দীপ্যমান মজুমদার, ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক মিলন মহান, ব্লক তৃণমূলের কোর কমিটির সদস্য কাইজার আহমেদ, স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান শামসুল আলম-সহ অনেকে।
বৈঠক শেষে মিমি যখন গাড়িতে উঠে সকলের দিকে তাকিয়ে হাত নাড়ছেন, সে সময়ে সুরজ মোল্লা নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা চিৎকার করে বলেন, ‘‘ম্যাডাম আপনার সঙ্গে হাসপাতালের সমস্যা নিয়ে কিছু কথা বলতে চাই। এরপরেই মিমি গাড়ি থেকে নেমে আসেন। মানুষের ভিড়ে মিশে অভাব-অভিযোগের কথা শোনেন। স্থানীয় বাসিন্দারা সাংসদকে বলেন, পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে হাসপাতালে। নিয়মিত হাসপাতাল চত্বর পরিষ্কার করা হয় না। হাসপাতাল চত্বরের মধ্যে বাতিস্তম্ভের আলো ঠিক মতো জ্বলে না। অধিকাংশ সময়ে রোগীদের ‘রেফার’ করে দেওয়া হয়। এরপরেই সাংসদ ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক, বিডিও, পঞ্চায়েত প্রধানকে নির্দেশ দেন, অবিলম্বে হাসপাতাল চত্বরের আলো মেরামত করে তাঁকে ছবি তুলে পাঠাতে। নিয়মিত হাসপাতাল চত্বর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করারও নির্দেশ দেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রয়োজনের তুলনায় চিকিৎসক কম। প্রতি দিন গড়ে ৫০০ জনের বেশি রোগী আসেন এখানে। সাফাই কর্মী বা অন্যান্য কর্মীর সমস্যাও রয়েছে। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মিমি পরে বলেন, ‘‘কিছু সমস্যা রয়েছে। তার মধ্যেও আমরা উন্নত পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি।’’ আরও নতুন কিছু উদ্যোগ করা হচ্ছে বলেও আশ্বাস দেন তিনি। ‘রেফার’ না করে কী ভাবে উন্নত পরিষেবা দেওয়া যায়, তার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy