বিরোধী দল রাজনৈতিক অভিসন্ধি করে ছেলে এবং শ্যালককে ফাঁসিয়েছে। সোনা পাচার কাণ্ডে ছেলে এবং শ্যালকের গ্রেফতার প্রসঙ্গে এমনই দাবি করলেন উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর তৃণমূল নেতা শঙ্কর আঢ্য। তৃণমূল নেতা জানান, তদন্তের স্বার্থে যত বার তদন্তকারীরা ডাকবেন, তত বারই হাজিরা দেবেন তাঁর ছেলে।
বৃহস্পতিবার সোনা পাচার কাণ্ডে বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্য এবং পুরসভার বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান জোৎস্না আঢ্যর ছেলে শুভ আঢ্যকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় শুল্ক দফতর বা ডিরেক্টরেট অব রেভিনিউ ইনটেলিজেন্স (ডিআরও)। পাকড়়াও হন শঙ্কের শ্যালক এবং জ্যোৎস্নার ভাই অমিত ঘোষকেও। যদিও শেষমেশ জামিন পেয়েছেন শুভ। এ নিয়ে শুক্রবার রাজনৈতিক অভিসন্ধির অভিযোগ করেন শঙ্কর। বনগাঁর বাসভবনে বসে শঙ্কর বলেন, ‘‘আমাদের নিজস্ব ব্যবসা রয়েছে। সেখানে গত ২৭ সেপ্টেম্বর ডিআরআই থেকে সমন পাঠিয়ে কোম্পানির ডিরেক্টরকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। সেই মতো আমাদের সংস্থার লোক হাজিরা দেন। বৃহস্পতিবার আমার ছেলেকেও ডাকা হয়েছিল। সেখানে তাদের গ্রেফতার করে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয়। কিন্তু ওদের কাছ থেকে কোনও কিছু উদ্ধার হয়নি। তাই জামিন পেয়েছে।’’ তার পর তৃণমূল নেতা বলেন, ‘‘তদন্তের স্বার্থে তদন্তকারী সংস্থা যত বার ডাকবে তত বার শুভ যাবে।’’
আরও পড়ুন:
প্রসঙ্গত, গত ১৮ অক্টোবর শিয়ালদহ থেকে দিল্লীগামী রাজধানী এক্সপ্রেস থেকে ২৬টি সোনার বিস্কুট-সহ দু’জনকে গ্রেফতার করে ডিআরআই। তাঁদের নাম অনুপম মিত্র ও অলীক মণ্ডল। এই দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গিয়ে উঠে আসে তৃণমূল নেতার শ্যালক এবং ছেলের নাম। বৃহস্পতিবার সকালে তাঁরা ডিআরআই অফিসে হাজিরা দেন। পরে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়।
অন্য দিকে, শঙ্করের অভিযোগ প্রসঙ্গে কটাক্ষ করেছেন বনগাঁ বিজেপির সাধারণ সম্পাদক দেবদাস মণ্ডল। তিনি বলেন, ‘‘ডিআরআই ওদের গ্রেফতার করেছিল। তদন্তের বিষয়েও ডিআরআই বলতে পারবে। এর সঠিক তদন্ত হোক।’’ তার পর তাঁর মন্তব্য, ‘‘চোরের মায়ের বড় গলা। সবাই জানে উনি কী ব্যবসা করেন।’’