—প্রতীকী চিত্র।
সিপিএমের হয়ে প্রচারে আর যেন দেখা না যায়, এমন হুমকির প্রতিবাদ করায় বাড়িতে ঢুকে মারধর করা হয়েছে এক কর্মীকে। বাধা দিতে গিয়ে প্রহৃত হয়েছেন আক্রান্তের স্ত্রী ও ভাই। রবিবার ঘোলা থানায় এমনই অভিযোগ দায়ের করেছেন এক সিপিএম কর্মী। অভিযোগের আঙুল উঠেছে শাসকদল তৃণমূলের এক নেতা এবং তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে। যদিও অভিযোগ খারিজ করে তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়েছেন, নির্বাচনের আগে দলকে কালিমালিপ্ত করতে ভিত্তিহীন এবং মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর।
রবিবার ঘটনাটি ঘটে ঘোলা থানার অধীন বিলকান্দা ১ নম্বর পঞ্চায়েতের মহিষপোঁতায়। বাম শিবিরের দাবি, খড়দহ বিধানসভা কেন্দ্রের অধীন ওই এলাকায় দমদম লোকসভা কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী সুজন চক্রবর্তীর সমর্থনে প্রচার-মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন অভিযোগকারীরা। নির্বাচনের আগে বামেদের সভা, মিছিল ঘিরে মানুষের উৎসাহ দেখে আতঙ্ক তৈরি করতে হুমকি ও হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে শাসকদল। যদিও সেই দাবি খারিজ করে তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব জানিয়েছেন, মিথ্যা অভিযোগ তুলে খবরে আসতে চাইছেন বামেরা।
পেশায় গাড়িচালক ওই সিপিএম কর্মী শ্রীবাস দাসের অভিযোগ, রবিবার জনা ২৫ তৃণমূল কর্মী, যাঁরা এলাকায় পঞ্চায়েতের উপপ্রধান প্রবীর দাসের অনুগামী বলেই পরিচিত, তাঁর বাড়িতে যান। তাঁরা হুমকি দিয়ে বলেন, শ্রীবাসকে যেন প্রচারে রাস্তায় দেখা না যায়। দেখা গেলে হাত-পা ভেঙে ফেলে দেওয়া হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়। তিনি এর প্রতিবাদ করতেই শুরু হয় মারধর। অভিযোগ, বাধা দিতে গেলে আক্রান্তের স্ত্রী পাপিয়া দাসকে মাটিতে ধাক্কা দিয়ে ফেলে মারধর করা হয়। শ্রীবাসের ভাই জয়ন্তকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ওই সিপিএম কর্মীর অভিযোগ, প্রবীর দাসের মদতেই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। আরও একাধিক বামকর্মীর বাড়িতে গিয়ে হুমকি ও গালিগালাজ করেছেন অভিযুক্তেরা।
প্রবীর দাসের পাল্টা দাবি, এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। তাঁর আরও দাবি, বিরোধীরা এলাকায় প্রচার করছেন, দেওয়াল লিখনও করা হচ্ছে। তৃণমূল বাধা দিলে কী ভাবে প্রচার করছেন বিরোধীরা, সেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। তাঁর পাল্টা দাবি, অভিযোগকারীই অতীতে সন্ত্রাসের নানা ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তৃণমূলের তোলা এই অভিযোগ আবার খারিজ করে দিয়েছেন স্থানীয় বাম নেতৃত্ব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy