টহল: কুলতলিতে, ছবি: সুমন সাহা
দীর্ঘ টালবাহানার পরে কুলতলির দেউলবাড়ি-দেবীপুর পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন হল। টসে জিতে বোর্ড গড়ল তৃণমূল। প্রধান নির্বাচিত হয়েছেন তৃণমূলের সতীশ সর্দার। উপপ্রধান, নিখিল বৈদ্য।
তবে বিজেপি থেকে জানানো হয়েছে, বোর্ড গঠনে স্বচ্ছতা ছিল না। বুধবার বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া চলাকালীনই তাঁদের প্রধান পদপ্রার্থীকে মারধর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ দায়ের করেছে তারা।
গত পঞ্চায়েত ভোটে এই পঞ্চায়েতের ১৭টি আসনের মধ্যে তৃণমূল পায় ৬টি আসন। বিজেপি ৪টি, এসইউসি ৫টি এবং সিপিএম ও নির্দল প্রার্থী একটি করে আসন পায়। ২০১৮ সালের অগস্টে প্রথম বোর্ড গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। প্রধান পদে তৃণমূলের সতীশ সর্দারের বিরুদ্ধে মামনি সর্দারকে প্রার্থী করে বিজেপি। ভোটাভুটির পরে দেখা যায় দুই প্রার্থীই আটটি করে ভোট পেয়েছেন। একটি ভোট বাতিল হয়। এরপরে লাটারির মাধ্যমে বোর্ড গঠনের সিদ্ধান্ত নেন প্রিসাইডিং অফিসার। কিন্তু দু’পক্ষের গোলমালে সেই প্রক্রিয়া স্থগিত হয়ে যায়। নতুন করে ভোটাভুটির সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। তার প্রতিবাদে আদালতের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। আদালত নির্দেশ দেয়, যে জায়গা থেকে বোর্ড গঠন স্থগিত হয়েছে, সেখান থেকেই ফের তা চালু করতে হবে। অর্থাৎ, দুই প্রধান প্রার্থী আটটি করে ভোট পেয়েছেন, এই পরিস্থিতি থেকেই ফের বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া হবে। তৃণমূলের তরফে এর বিরোধিতা করে আদালতের দ্বারস্থ হলেও এই সিদ্ধান্তই বহাল থাকে।
এই পরিস্থিতিতে ব্লক প্রশাসন টসের মাধ্যমে বোর্ড গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়। এ দিন কড়া পুলিশি পাহারার মধ্যে পঞ্চায়েত ভবনে সেই প্রক্রিয়াতেই বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া শুরু হয়। প্রশাসন সূত্রের খবর, প্রাথমিক ভাবে টসের সিদ্ধান্ত নিয়ে দু’পক্ষের মতবিরোধ হয়। বিরোধীরা অন্য প্রক্রিয়ায় বোর্ড গঠনের দাবি তোলেন। তা নিয়ে একপ্রস্থ বচসা বাধে দু’পক্ষের। শেষ পর্যন্ত সকলকে রাজি করিয়ে টস করেন প্রিসাইডিং অফিসার।
প্রশাসন সূত্রের খবর, টসে জয়ী হয় তৃণমূল। তবে টস-প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ভাবে হয়নি বলে অভিযোগ তোলে বিজেপি। তাদের দাবি, কয়েন মাটিতে পড়ার পরে হেড-টেল কী পড়ল, তা ভাল ভাবে দেখার সুযোগ দেয়নি তৃণমূলের লোকজন। মামনির অভিযোগ, গোলমালের মধ্যেই তৃণমূলের এক সদস্য তাঁর আঙুলে কামড়ে দেন।
প্রশাসনের এক কর্তা অবশ্য জানান, সুষ্ঠু ভাবেই টস-প্রক্রিয়া হয়েছে। প্রধান নির্বাচনের পরে উপপ্রধান পদে ভোটাভুটি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিজেপির তরফে উপপ্রধান পদে প্রার্থী দেওয়া হয়নি বলে প্রশাসন সূত্রের খবর। ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃণমূলের নিখিল বৈদ্য ওই পদে নির্বাচিত হন।বিজেপি জেলা সভাপতি সুনীপ দাস বলেন, ‘‘আমরা চেয়েছিলাম, কাগজে লটারির মাধ্যমে ফলাফল হোক। কিন্তু প্রশাসন টস করার সিদ্ধান্ত নেয়। টসে কী পড়ল, আমাদের দেখতে না দিয়ে তৃণমূলের লোকজন ঝাঁপিয়ে পড়ে। প্রশাসন ওদের জয়ী ঘোষণা করে দেয়। প্রশাসনের মদতেই তৃণমূল জিতল। প্রয়োজনে আমরা আবার আদালতে যাব।’’
কুলতলি ব্লক যুব তৃণমূলের সভাপতি গণেশ মণ্ডল বলেন, ‘‘আদালতের নির্দেশে এবং প্রশাসনের আধিকারিকদের উপস্থিতিতে আমরা বোর্ড গঠন করেছি। এ বার সুষ্ঠু ভাবে পঞ্চায়েতের কাজ শুরু হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy