ভগবানপুর এলাকায় নিজের পকেটের টাকা খরচ করে রাস্তা তৈরি করে দিচ্ছেন তৃণমূল নেতা। — নিজস্ব চিত্র।
বহু আবেদনেও সংস্কার হয়নি রাস্তা। বর্ষায় মাটির রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে দুর্ভোগে পড়ছিলেন গ্রামবাসীরা। ক্ষোভ বাড়ছিল মানুষের মধ্যে। সেই ক্ষোভ প্রশমনে গাঁটের কড়ি খরচ করে রাস্তা তৈরি করালেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী। ভাঙড় ২ ব্লকের ভগবানপুর পঞ্চায়েত এলাকার ঘটনা।
স্থানীয় সূত্রের খবর, ওই পঞ্চায়েতের ৫০ নম্বর বুথের গনি মোল্লার বাড়ি থেকে ভগবানপুর হাই স্কুল পর্যন্ত প্রায় ৬০০ মিটার মাটির রাস্তা দীর্ঘ দিন ধরে বেহাল। বৃষ্টি হলে জল-কাদায় দুর্ভোগ বাড়ে। পায়ে হেঁটে যাতায়াত করতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। ওই গ্রামে ভোট চাইতে গিয়ে কাদা রাস্তায় সমস্যায় পড়ছেন প্রার্থীরাও।
মানুষের ক্ষোভের আঁচ পেয়েই ওই এলাকার পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী খাইরুল ইসলাম নিজের পকেট থেকে প্রায় ৬০ হাজার টাকা খরচ করে রাস্তাটি সংস্কারে উদ্যোগী হন। খাইরুলের স্ত্রী মারুফা বিবি ওই পঞ্চায়েতেরই প্রার্থী।
স্থানীয় বাসিন্দা মোজাম মোল্লা বলেন, “সব জায়গায় ঢালাই রাস্তা তৈরি হয়েছে। কিন্তু বার বার পঞ্চায়েতকে জানিয়ে এই রাস্তার কাজ হয়নি। যাই হোক, আমাদের অসুবিধার কথা ভেবে খাযইরুল ইসলাম ইট পেতে যাতায়াতের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। আমরা উপকৃত হলাম।”
ভগবানপুর পঞ্চায়েতের বিদায়ী প্রধান রেজিনা বিবির স্বামী ইব্রাহিম মোল্লা (বাপি) বলেন, “এলাকার মানুষের দাবি মেনে অধিকাংশ ঢালাই রাস্তা তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরে কেন্দ্র সরকার একশো দিনের কাজের প্রকল্পের টাকা দিচ্ছে না। ফলে অনেক কাজ আটকে গিয়েছে।” খাইরুল বলেন, “মানুষের যাতায়াতের অসুবিধা হচ্ছে দেখে ইটের রাস্তা তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। যেহেতু এখন পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণা হয়ে গিয়েছে, তাই সরকারি ভাবে কোনও কাজ করা যাচ্ছে না। এই পঞ্চায়েতের বাসিন্দা হিসেবে সকলের যাতায়াতের সুবিধার জন্য ইট পেতে দিয়েছি। এর সঙ্গে ভোটের কোনও সম্পর্ক নেই।”
আইএসএফের ভাঙড় ২ ব্লক সভাপতি রাইনুর হক বলেন, “এই ঘটনাই প্রমাণ করে, তৃণমূল এলাকার মানুষের জন্য কোনও কাজ করেনি। ভোট চাইতে গিয়ে মানুষের কাছে মুখ পুড়ছে নেতাদের। তাই নিজেদের পকেটের কড়ি খরচ করে মানুষের মন জয় করতে চাইছেন। ভোটে জিতে গেলে তৃণমূল নেতারা এই টাকা ১০ গুণ তুলে নেবেন!”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy