বাঘের পায়ের ছাপে কুলতলিতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল। —নিজস্ব চিত্র।
অবশেষে লোকালয় থেকে গভীর জঙ্গলে ফিরে গেল বাঘ। স্বস্তির নিঃশ্বাস পড়ল কুলতলির বাসিন্দাদের। গত বুধবার কুলতলির পেটকুলচাঁদ এলাকায় বাঘের পায়ের ছাপ দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। তড়িঘড়ি বিষয়টি বনদফতর এবং পুলিশকে জানানো হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন বনদফতরের কর্মীরা। মানুষকে সচেতন করতে পুলিশের পক্ষ থেকে এলাকায় মাইকিংও করা হয়। বাঘ যাতে জঙ্গল থেকে লোকালয়ে ঢুকতে না পারে তার জন্য নেটের জাল দিয়ে পুরো এলাকা ঘিরে ফেলা হয়েছে। রাতে আগুন জ্বালিয়ে বাঘকে তাড়ানোর চেষ্টা করেন বনকর্মীরা। প্রায় ৪৮ ঘণ্টার চেষ্টার পর শুক্রবার সকালে বাঘটি ফের গভীর জঙ্গলে ফিরে গিয়েছে বলে বনদফতরের তরফে জানানো হয়েছে। সেই খবর পেয়ে স্বস্তি ফিরেছে গ্রামবাসীদের মনে।
পাশাপাশি, লোকালয়ে বাঘ প্রবেশের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষোভও জমেছে স্থানীয়দের একাংশের মনে। লোকালয়ে বারবার বাঘ চলে আসার নেপথ্যে কুলতলিতে নির্বিচারে সুন্দরবনের জঙ্গল কেটে মাছের ভেড়ি তৈরিকেই দায়ী করছেন স্থানীয়রা।
অভিযোগ উঠেছিল, কুলতলি ব্লকের গোপালগঞ্জে গ্রাম পঞ্চায়েতের ঢোড়াবাগদা গ্রামে বেআইনি ভাবে ম্যানগ্রোভ কাটা হচ্ছে। বনদফতর সূত্রে খবর, বছর দুয়েক আগে এই অঞ্চলেই মাতলা নদীর পাড়ে ম্যানগ্রোভ কাটা হয়। ২০২২ সালে বনদফতর এবং স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই এলাকায় সুন্দরবনকে বাঁচাতে নতুন করে গাছ লাগানো হয়েছিল। তবে ফের গাছ কাটার অভিযোগ পেয়ে বনদফতরের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে কাঠ এবং কাঠ কাটার নানান সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা হয়। এই ঘটনায় কুলতলি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে বনদফতর। ম্যানগ্রোভ কাটার ঘটনায় মানুষের সচেতনতা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy