এক শ্রমিকের শোকার্ত পরিবার। নিজস্ব চিত্র।
একই গ্রামের তিন শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা এলাকায়। আহত আরও এক জন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন হাসপাতালে। মঙ্গলবার দুর্ঘটনাটি ঘটেছে চিংড়িঘাটার কাছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রুটিরুজির টানে মিনাখাঁর প্রত্যন্ত উচিলদহ গ্রাম থেকে আট জন যুবক কলকাতার একটি মার্বেলের গুদামে কাজ করতে গিয়েছিলেন। মঙ্গলবার কলকাতার ওই গুদাম থেকে মার্বেল নিয়ে রওনা দিয়েছিল একটি ছোট লরি। ওই গাড়িতেই ছিলেন উচিলদহ গ্রামের আট শ্রমিক। অতিরিক্ত মার্বেল নিয়ে এই লরিটি যখন চিংড়িঘাটার কাছে যায় ,তখন গাড়ির অ্যাক্সেল ভেঙে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন শ্রমিকেরা।
এই ঘটনায় মৃত্যু হয় মিনাখাঁর শম্ভুনাথ দাস (৬২), বাপ্পা হালদার (২৯) এবং প্রণব বেরার (৩২)। পাশাপাশি, ওই গাড়িতে থাকা অভি দাস নামে আর এক কলকাতার একটি সরকারি হাসপাতালে সঙ্কটজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন। বাকি চার শ্রমিককে প্রাথমিক চিকিৎসা করে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এ দিকে একই গ্রামের পাশাপাশি বাড়ির তিন জনের এই মৃত্যুর ঘটনায় রীতিমতো শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা উচিলদহ গ্রাম জুড়ে। এই মর্মান্তিক ঘটনার কথা শুনে এলাকায় পৌঁছন স্থানীয় তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। বুধবার আটপুকুর অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সত্যজিৎ ঘোষ-সহ কয়েক জন তৃণমূল কর্মী মৃতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন ও তারা যাতে ওই মার্বেল কোম্পানির থেকে আর্থিক সাহায্য পায়, তার ব্যবস্থা করার প্রচেষ্টার প্রতিশ্রুতি দেন। আহত ও মৃতদের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন তাঁরা। ইতিমধ্যে চিংড়িঘাটা এলাকার কাউন্সিলর ও বিধায়কের সঙ্গেও তাঁরা কথা বলেছেন বলে জানা গেছে।
পাশাপাশি, এই ঘটনার পরে ওই লরির চালক, উচিলদহ গ্রামেরই যুবক ধ্রুবমঙ্গল দাসকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ। মৃতের আত্মীয়েরা বলেন, ‘‘খুব গরিব পরিবারের ছেলে ছিল ওরা, কোনও রকমে রোজগার করে দু’বেলা দু’মুঠো খেত, পরিবারের প্রধান রোজগেরে লোকদের এই মৃত্যুতে অসহায় অবস্থার মধ্যে পড়েগিয়েছে বাড়ির ছোট ছোট ছেলে-মেয়ে ও মৃতদের স্ত্রীরা। সরকারের কাছে আবেদন, যদি কোনও আর্থিক সাহায্য করা হয় তা হলে ওই তিনটি পরিবার বেঁচে যাবে।’’
এই প্রসঙ্গে আটপুকুর অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সত্যজিৎ ঘোষ বলেন, ‘‘মৃত্যুর দায় মার্বেল গুদামের মালিককে নিতে হবে, এই সব আহত ও মৃতদের পরিবার যাতে আর্থিক সাহায্য পায়, তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ওই এলাকার বিধায়ক ও কাউন্সিলরের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি, মৃত ও আহত পরিবারদের পাশে আমরা রয়েছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy