Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪

নরেন্দ্রপুরে ডাকাতিতে গ্রেফতার তিন বাংলাদেশি

পুলিশ জানিয়েছে, ওই ঘটনার মূল চক্রী নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার কন্দর্পপুরের গাঁজাপাড়ার বাসিন্দা, পেশায় আলুর চিপ্‌স তৈরির কারখানার শ্রমিকদের ঠিকাদার নাজিবুল লস্কর।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ অগস্ট ২০১৯ ০১:৩৫
Share: Save:

রবিবার গভীর রাতে নরেন্দ্রপুরের পূর্ব খুড়িগাছিতে পুলিশের পোশাক পরে ডাকাতির ঘটনায় বাংলাদেশি দুষ্কৃতীদেরও যোগ রয়েছে বলে দাবি করেছেন বারুইপুর জেলা পুলিশের কর্তারা। ওই ঘটনায় মোট চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। ধৃতদের তিন জনই বাংলাদেশি। ওই রাতে প্রায় ১২ জনের একটি দল অরূপ দত্ত নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে লুটপাট চালিয়েছিল বলে জেনেছেন তদন্তকারীরা।

পুলিশ জানিয়েছে, ওই ঘটনার মূল চক্রী নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার কন্দর্পপুরের গাঁজাপাড়ার বাসিন্দা, পেশায় আলুর চিপ্‌স তৈরির কারখানার শ্রমিকদের ঠিকাদার নাজিবুল লস্কর। তার সঙ্গে এই ডাকাতির ছক কষেছিল বাংলাদেশের গোপালগঞ্জের বাসিন্দা রেজাবুল শেখ। সে বর্তমানে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ধপধপির বাসিন্দা।

পুলিশ সূত্রের খবর, সোমবার রাতে বাঘা যতীন স্টেশন সংলগ্ন এলাকা থেকে রেজাবুল শেখ, মামন শেখ ও সবুজ শেখ নামে তিন বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ডাকাতি করে পালানোর সময়ে রবিবার রাতেই দিপু শর্মা নামে এক দুষ্কৃতীকে ধরে ফেলেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের মারের চোটে দিপুর পা ভেঙে যায়। দিপুকে জেরা করেই ওই তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বারুইপুর জেলা পুলিশ সুপার রশিদ মুনির খান।

তদন্তকারীরা জানান, অরূপ দত্তের এক প্রতিবেশীর বাড়িতে নিয়মিত যাতায়াত ছিল নাজিবুলের। সপ্তাহখানেক আগে একটি পুজোর অনুষ্ঠানে ওই প্রতিবেশীর সঙ্গে অরূপবাবুর বাড়িতে গিয়েছিল নাজিবুল। সেখানে বিগ্রহের গায়ে প্রচুর সোনার গয়না দেখেছিল সে। তার পরেই রেজাবুলের সঙ্গে যোগাযোগ করে সে। কলকাতার একটি ডাকাতির মামলায় অভিযুক্ত রেজাবুল প্রায় সাত বছর জেলে থাকার পরে ধপধপি এলাকায় থাকতে শুরু করেছিল। রেজাবুলের পাশাপাশি কলকাতার রাজাবাজারের বাসিন্দা দিপু শর্মা-সহ আরও তিন দুষ্কৃতীর সঙ্গেও যোগাযোগ করে নাজিবুল। তৈরি করে একটি দল। দিপু এবং ওই তিন দুষ্কৃতী আদতে বিহারের বাসিন্দা। সেখানে তাদের বিরুদ্ধে খুন ও ডাকাতির একাধিক মামলা রয়েছে। বিহার পুলিশের খাকি উর্দি পরেই অরূপবাবুর বাড়িতে ডাকাতির ছক কষেছিল নাজিবুলেরা। রেজাবুলের বাড়ি থেকে ওই উর্দি উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি পুলিশের।

তদন্তকারীরা জানান, দরজা খোলার পরে অরূপবাবুকে পুলিশের পোশাক পরা রেজাবুল বলেছিল, ‘আপনার বাড়িতে সোনার বিস্কুট আছে বলে খবর পেয়েছি আমরা।’ ধৃত দিপু জানিয়েছে, অরূপবাবুদের ভয় দেখাতেই ওই কথা বলা হয়েছিল। এর পরে একেবারে ঠাকুরঘরে গিয়ে বিগ্রহের গা থেকে সোনার গয়না খুলে নিয়েছিল তারা। লুট করেছিল নগদ টাকাও। ধৃতদের বিরুদ্ধে ডাকাতি ও অস্ত্র আইনে মামলা করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে নগদ টাকা ও গয়না উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।

অন্য বিষয়গুলি:

Arrest Bangladesh Narendrapur Crime
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy