পুজো দিতে এসে মৃত্যুর আতঙ্ক এবং তাপপ্রবাহের জেরে শুক্রবার তেমন বড় ভিড় হল না পানিহাটি দণ্ডমহোৎসবে। —ফাইল চিত্র।
প্রচণ্ড গরমে ও ভিড়ের চাপে অসুস্থ হয়ে গত বছর মৃত্যু হয়েছিল তিন পুণ্যার্থীর। তা থেকে শিক্ষা নিয়ে এ বার তৎপর ছিল প্রশাসন। পুজো দিতে এসে মৃত্যুর আতঙ্ক এবং তাপপ্রবাহের জেরে শুক্রবার তেমন বড় ভিড় হল না পানিহাটি দণ্ডমহোৎসবে।
এ দিন ৫০৭তম দণ্ডমহোৎসব উপলক্ষে ভোর থেকেই পানিহাটি মহোৎসবতলা ঘাটের চৈতন্যদেবের মন্দিরে ভিড় জমাতে শুরু করেন ভক্তেরা। তবে এ বার মন্দিরের ভিতরে প্রবেশ বন্ধ রাখা হয়েছিল। আশপাশ বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়। পুজো দেওয়ার জন্যও বাঁশের ব্যারিকেডের মাধ্যমে নির্দিষ্ট একমুখী চ্যানেল করা হয়েছিল। পুজো দিয়ে কেউ আর সেই পথে ফিরে আসতে পারেননি। গত বছর ওই ঘাট সংলগ্ন রাস্তাতেই ঘটেছিল বিপত্তি। ভিড়ের চাপে গরমে অসুস্থ হয়ে রাস্তায় পড়ে গিয়েছিলেন তিন জন। এ দিন যাতে সকলে ঠিক রাস্তায় যান, তার জন্য় উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্তাদের তদারকি করতে দেখা গিয়েছে।
এ বারে গোটা চত্বরে কোনও রাস্তা বা মাঠে মেলাও বসতে দেওয়া হয়নি। এমনকি, ইস্কন মন্দিরেও বসিয়ে প্রসাদ খাওয়ানো বন্ধ রাখা হয়েছিল। ফলে বি টি রোড থেকে সোদপুর ট্র্যাফিক মোড়, স্বদেশী মোড় দিয়ে পায়ে হেঁটেই যাতায়াত করতে পেরেছেন পুণ্যার্থীরা। বেঙ্গল কেমিক্যাল মোড়ের রাস্তা ব্যবহার করা হয়েছে ভিআইপি, পুলিশ, অ্যাম্বুল্যান্স, দমকলের জন্য। এইচ সি দত্ত রোড দিয়ে টোটো এবং ধানকল মোড়ের রাস্তায় অটো যাতায়াত করার অনুমতি ছিল। ছিল সিসি ক্যামেরার নজরদারি। পুলিশ কমিশনার অলোক রাজোরিয়া বলেন, “এ বার কারও কোনও অসুবিধা হয়নি। তবে কিছু বিষয় আমরা চিহ্নিত করেছি। আগামী দিনে সেগুলির জন্যও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” এ দিন গঙ্গাতেও একসঙ্গে বেশি জনকে নামতে দেওয়া হয়নি। ফেরি পার করতেও আলাদা দু’টি ঘাট ছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy