আবাস যোজনার দুর্নীতির টাকা ফেরত চেয়ে নোটিস পাঠানো হয়েছিল মথুরাপুর ২ ব্লক প্রশাসনের তরফে। তারপরে কেটে গিয়েছে প্রায় পাঁচ মাস। এখনও টাকা ফেরত না পাওয়ায় ফের নোটিস পাঠানোর পরিকল্পনা করছে প্রশাসন।
রায়দিঘির মথুরাপুর ২ ব্লকের নগেন্দ্রপুর পঞ্চায়েত এলাকায় ২০১৮ সাল থেকে কেন্দ্রীয় আবাস যোজনার টাকার জন্য আবেদন করেও অনেকে পাননি বলে অভিযোগ। ২০২৩ সালে উচ্চ আদালতে জনস্বার্থ মামলা করেন তাঁদের কয়েক জন। ওই মামলায় আদালত স্থানীয় ব্লক প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছিল, কেন গরিব মানুষ আবাস যোজনার টাকা পাচ্ছেন না, তা খতিয়ে দেখতে হবে।
২০২৩ সালের নভেম্বরে মাসে ওই নির্দেশ পাওয়ার পরে ব্লক প্রশাসন নড়েচড়ে বসে। ব্যাঙ্কে স্টেটমেন্ট থেকে জানা যায়, ২৬ জনের অ্যাকাউন্টে একাধিক বার আবাস যোজনার টাকা ঢুকেছে। কিন্তু কেউ বাড়ি তৈরি করেননি।
ওই টাকা ফেরত চেয়ে ব্লক প্রশাসন থেকে নোটিস পাঠানো হয় ওই ব্যক্তিদের। নোটিস পাওয়ার পরে পাঁচ মাস কেটে গেলেও অধিকাংশই টাকা ফেরত দেননি বলে প্রশাসন সূত্রের খবর।
পঞ্চায়েতের সিপিএম নেতা ইয়াসিন গাজির অভিযোগ, এলাকার তৃণমূলের প্রাক্তন প্রধান, তৃণমূল নেতা এবং তাঁর পরিবারের সদস্যেরাও আবাস যোজনার টাকা লুট করেছেন। গরিবের টাকা অন্যের অ্যাকাউন্টে ঢুকিয়ে সেখান থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে। লক্ষ লক্ষ টাকার দুর্নীতি করেছেন শাসক দলের নেতারা।
রায়দিঘির বিধায়ক অলোক জলদাতা বলেন, ‘‘আদালতের নির্দেশ মেনে তদন্ত চলছে। এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না। তবে প্রধান ও তৃণমূল নেতারাও অনেকে গরিব। তাঁদেরও সরকারি আবাস যোজনার বাড়ির প্রয়োজন। শুনেছি ছাপার ভুল থাকায় জন্য কিছু সমস্যা হয়েছে।’’
মথুরাপুর ২ বিডিও নাজির হোসেন বলেন, ‘‘২৬ জনকে ৩০ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ফিরিয়ে দিতে বলে নোটিস পাঠানো হয়েছিল। এখনও পর্যন্ত মাত্র ৫ জন ৩০ হাজার টাকা করে ফেরত দিয়েছেন। বিস্তারিত জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। বাকি টাকা ফেরতের বিষয়ে জেলা প্রশাসনের নির্দেশ পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।’’
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)