এ ভাবেই রাস্তার উপরে ভেঙে পড়েছিল তোরণ। —ফাইল চিত্র।
অনুষ্ঠান উপলক্ষে রাস্তার উপরে তৈরি হচ্ছে তোরণ। অনুষ্ঠান হয়ে গেলেও মাস পেরিয়ে যাচ্ছে বাঁশের সেই তোরণ খুলতে। যা ভেঙে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিপত্তি ঘটে অশোকনগরে। রাস্তার উপরেআচমকা তোরণ ভেঙে কারও বড়সড় বিপদ-আপদ ঘটতে পারত বলেও মনে করছেন স্থানীয় মানুষ।
যে তোরণটি ভেঙেছে মঙ্গলবার, সেটি তৈরি হয়েছিল অশোকনগর উৎসব উপলক্ষে। চৌরঙ্গী এলাকায় বাঁশের বিশাল তোরণ লাগানো হয়েছিল। মাসখানেক আগে উৎসব শেষ হলেও তোরণ খোলা হয়নি। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঝড়-বৃষ্টির সময়ে তোরণটি ভেঙে পড়ে। রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে যায়। অশোকনগরের প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক সত্যসেবী কর বলেন, ‘‘বিষয়টি সম্পূর্ণ আয়োজকদের দায়িত্বজ্ঞানহীনতার ফল।’’
উৎসব শেষ হলেও কেন তোরণ খোলা হয়নি?
অশোকনগর উৎসব কমিটির সম্পাদক অতীশ সরকারের দাবি, ‘‘ডেকরেটরকে বার বার বলা সত্বেও তাঁরা তোরণটি খুলে নিয়ে যাননি।’’ সংশ্লিষ্ট ডেকরেটর বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেননি। তবে এলাকার মানুষের প্রশ্ন, ডেকরেটর উদ্যোগ না করলেও আয়োজকেরা কি এর দায় এড়াতে পারেন?
বাসিন্দারা অনেকে মনে করছেন, কোনও অনুষ্ঠানের জন্য তোরণ বাঁধা হলে, সেই অনুষ্ঠান শেষ হলে ডেকরেটর অপেক্ষা করেন, পরবর্তী কোনও অনুষ্ঠানের জন্য। একই তোরণে তুলে নিয়ে গিয়ে সেখানে লাগিয়ে দেওয়া হয়। শুধু বদলে যায় ব্যানার, ফ্লেক্স। অনেকের মতে, তোরণ লাগানোর ফলে ওই এলাকায় রাস্তা সংকীর্ণ হয়ে পড়ে। সেটাও সমস্যার কারণ।
মঙ্গলবারের ঘটনার পরে পুলিশের পক্ষ থেকে মৌখিক ভাবে ডেকরেটর মালিকদের সর্তক করে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, আগামী রবিবার ডেকরের্টস মালিকদের নিয়ে বৈঠক ডাকা হয়েছে। পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘এখন থেকে কোনও অনুষ্ঠানের জন্য তোরণ তৈরি করতে হলে পুলিশের অনুমতি নিতে হবে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে খতিয়ে দেখবে, তোরণটি যথেষ্ট শক্তপোক্ত কি না। এ ছাড়া, অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার তিন দিনের মধ্যে তোরণ খুলে ফেলতে হবে।’’
বুধবারও দেখা গেল, অশোকনগরের বিল্ডিং মোড় এলাকায় যশোর রোডে একটি তোরণ আছে। তাতে ডিওয়াইএফআই-এর ইনসাফ যাত্রার ব্যানার-পোস্টার লাগানো। ইনসাফ যাত্রা অনেক দিন আগে হয়ে গিয়েছে। এ বিষয়ে সত্যসেবী বলেন, ‘‘ওখানে আমাদের তোরণ নেই। একই তোরণে শিশু উৎসবের জন্য ব্যানার ফ্লেক্স লাগানো হয়েছে।’’
পুরপ্রধান প্রবোধ সরকারের কথায়, ‘‘এত দিন কোনও পরিকল্পনা না থাকলেও মঙ্গলবারের ঘটনার পরে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, অনুষ্ঠান শেষ হলে দ্রুত তোরণ খুলে ফেলতে হবে। না হলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ ডেকরেটর মালিকেরা জানালেন, পুলিশ-প্রশাসনের নির্দেশ মতো তাঁরা কাজ করবেন। মূলত, খরচ বাঁচাতেই যে তোরণ অনেক দিন রেখে দেওয়া হয়, সে কথা কার্যত মেনেও নিয়েছেন মালিকদের অনেকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy