প্রতীকী ছবি।
বাড়ির উঠোনে টেবিল পেতে, ছাতা লাগিয়ে চলছিল বৌভাতে নিমন্ত্রিতদের খাওয়াদাওয়া। বাড়ি জুড়ে আত্মীয়স্বজনের ভিড়। ফুল দিয়ে সাজানো মণ্ডপে বসে নবদম্পতি। হঠাৎই পুরো বাড়ি ঘিরে ফেলল পুলিশ। মুহূর্তে বন্ধ হয়ে গেল গান-বাজনা। পুলিশ দেখে নববধূকে ছেড়ে চম্পট দিল বর। মাঝপথে খাওয়া ছেড়ে পালালেন অতিথিরাও।
বুধবার সন্ধ্যায় এমনই ঘটনার সাক্ষী থাকল দেগঙ্গার ভাসলিয়া।
পুলিশ সূত্রের খবর, নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর জোর করে বিয়ে দেওয়ার অভিযোগ এসেছিল বসিরহাটের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কাছে। এর পরে তাদের সঙ্গে দেগঙ্গা থানার পুলিশ গিয়ে বৌভাতের অনুষ্ঠান থেকে উদ্ধার করে চোদ্দো বছরের ওই কিশোরীকে। পুলিশ জানিয়েছে, বাবা-মা এমনকি মেয়েটির নিজেরও মত ছিল না বিয়েতে। অভিযোগ, তা সত্ত্বেও মা-বাবার অজান্তে তার বিয়ে দেওয়া হয় এক আত্মীয়ের সঙ্গে।
ওই কিশোরীর এক আত্মীয় তারক দাস বৃহস্পতিবার জানান, দিদির বাড়িতে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে তাকে আটকে রেখে জোর করে বিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি ছাত্রীটির বাবার অভিযোগ, ‘‘মেয়েকে আনতে গেলে আমাদের ভয় দেখিয়ে বিয়েতে সম্মতি রয়েছে বলে লিখিয়ে নেয় পাত্রপক্ষের লোকজন।’’
যদিও জামাইয়ের বাড়ির লোকের দাবি, ওই ছাত্রী ও ছেলেটির মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। দু’পক্ষের সম্মতিতেই বিয়ে হয়েছে। বসিরহাটের ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পক্ষে শেখ নাসিম আলি বলেন, ‘‘মেয়ের বৌভাত আটকাতে আমাদের আইনি পরিষেবা কেন্দ্রে জানিয়েছিলেন তার মা-বাবা। আমরা তা বন্ধ করতে পেরে খুশি।’’ ওই সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, গোটা বিষয়টি জেলা শিশু কল্যাণ সমিতিকে জানানো হবে। তাদের নির্দেশ মতো পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy