Advertisement
E-Paper

করোনাভাইরাস রুখতে পেট্রাপোলে নজরদারি

পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের পাশাপাশি বহু মানুষও যাতায়াত করেন। ভারত-বাংলাদেশি ছাড়াও অনেক বিদেশি নাগরিক দু’দেশের মধ্যে চলাচল করেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শেষ আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০০:৪০
নজরে: পরীক্ষা করা হচ্ছে বাংলাদেশ থেকে আসা যাত্রীকে। নিজস্ব চিত্র

নজরে: পরীক্ষা করা হচ্ছে বাংলাদেশ থেকে আসা যাত্রীকে। নিজস্ব চিত্র

করোনাভাইরাস রুখতে এ বার পেট্রাপোলে নজরদারি শুরু করল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। তাদের সাহায্য করছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা স্বাস্থ্য দফতর। রবিবার থেকে ওই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের পাশাপাশি বহু মানুষও যাতায়াত করেন। ভারত-বাংলাদেশি ছাড়াও অনেক বিদেশি নাগরিক দু’দেশের মধ্যে চলাচল করেন। অতীতে চিনের নাগরিকও যাতায়াত করেছেন। চিন থেকে ফিরেওছেন কেউ কেউ।

চিনে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে উদ্বেগ বাড়ছিল পেট্রাপোল সীমান্তে। বনগাঁর প্রাক্তন বিধায়ক গোপাল শেঠ দিন কয়েক আগে জেলা প্রশাসন ও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি লিখে পেট্রাপোল ও ঘোজাডাঙা বন্দর এলাকায় করোনা পরীক্ষার জন্য চিকিৎসা ব্যবস্থা করার দাবি করেছিলেন।

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যুগ্ম অধিকর্তা টি কে ভট্টাচার্য পেট্রাপোলে আসেন। সঙ্গে ছিলেন বনগাঁর বিএমওএইচ মৃগাঙ্ক সাহা রায়। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য বিভাগের কর্তা শুল্ক অভিবাসন-সহ পেট্রাপোল সীমান্তে বিভিন্ন অফিসারের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। কী ভাবে করোনাভাইরাস রুখতে হবে, তার নির্দেশিকা দিয়ে গিয়েছেন।

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৫ জানুয়ারির পরে যাঁরা চিনে গিয়েছিলেন, তাঁরা যদি পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে দু’দেশের মধ্যে যাতায়াত করেন, সে ক্ষেত্রে তাঁদের উপরে বিশেষ নজর রাখতে হবে। যাঁরা বাংলাদেশ থেকে এ দেশে আসছেন, তাঁদের নিয়ে কোনও উদ্বেগ নেই। রবিবার থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও যাত্রীর চিনে থাকার যোগ পাওয়া যায়নি।

মৃগাঙ্ক বলেন, ‘‘কোনও যাত্রী যদি চিনে গিয়ে থাকেন এবং তাঁর যদি সর্দিকাশি, জ্বর, শ্বাসকষ্ট থাকে— তা হলে তাঁকে ভাল করে পরীক্ষা করা হবে। সে ক্ষেত্রে অ্যাম্বুল্যান্সে করে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে পাঠানো হবে।’’

পেট্রাপোল বন্দরে চিকিৎসক দেবরঞ্জন মণ্ডলের নেতৃত্ব কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য বিভাগের একটি দল জিরো পয়েন্টের কাছে কাজ করছেন। যাত্রীদের উপরে নজর রাখছেন। সন্দেহ হলে পরীক্ষা করা হচ্ছে। ‘হেল্প ডেস্ক, করোনাভাইরাস’ নামে একটি সাইনবোর্ড টাঙানো হয়েছে। সাইনবোর্ডটি লাগানো হয়েছে, জেলা স্বাস্থ্য দফতরের তরফে। মৃগাঙ্ক বলেন, ‘‘মাস্ক, দস্তানা, অ্যাম্বুল্যান্স-সহ যাবতীয় সাহায্য জেলা স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে করা হচ্ছে।’’

Coronavirus Petropole
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy