সুকান্ত মজুমদার। Sourced by the ABP
মনোনয়ন পর্ব শেষ হতেই বাসন্তীতে একের পর এক বিজেপি প্রার্থীদের বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে। মারধর, বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। চাপ দেওয়া হয় মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য। তৃণমূলের দুষ্কৃতীরাই হামলা চালায় বলে অভিযোগ। সে কথা মানেনি শাসক দল।
শুক্রবার বিকেলে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এলাকায় আসেন। জ্যোতিষপুর পঞ্চায়েতের হরেকৃষ্ণপুর, ঝড়খালির ত্রিদিবনগর, চুনাখালি পঞ্চায়েতের কোটরাখালি এলাকায় আক্রান্ত কর্মীদের দেখতে যান। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে আদালতে যাবেন বলে জানান সুকান্ত।
বৃহস্পতিবার রাতে কোটরাখালিতে গোসাবা বিধানসভার বিজেপির ৪ নম্বর মণ্ডল সভাপতি চিন্ময় দাসকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পঞ্চায়েতে মনোনয়ন জমা দেওয়ার ফলে তাঁকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপির।
তৃণমূলের পাল্টা দাবি, বিজেপি একই আসনে দু’জন প্রার্থী দিয়েছে। তাঁদের নিজেদের মধ্যে গন্ডগোলের জেরে এই ঘটনা। হরেকৃষ্ণপুর গ্রামে সন্টু হালদারের বাড়িতে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তাঁর স্ত্রী অপর্ণা গ্রামসভায় প্রার্থী হয়েছেন। সে কারণেই হামলা বলে অভিযোগ।
তৃণমূলের স্থানীয় অঞ্চল সভাপতি স্বপন পট্টনায়েক অবশ্য বলেন, “সন্টু এক জন ঠিকাদার। এই এলাকা থেকে প্রচুর লোকজনকে বাইরে কাজের জন্য নিয়ে যান। কিন্তু ঠিকমতো টাকা দেন না। পাওনাদারেরাই চড়াও হয়েছিল। এই ঘটনায় তৃণমূল জড়িত নয়।”
ত্রিদিবনগরে বিজেপি নেতা অমল মণ্ডলের বাড়িতেও রাতে তৃণমূলের লোকজন হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ। বিজেপির দাবি, অমলের স্ত্রী সর্বাণী ভোটে দাঁড়িয়েছেন, সেই আক্রোশেই তৃণমূল নেতা দিলীপ মণ্ডলের লোকজন হামলাচালায়। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন দিলীপ।
এ দিন সব আক্রান্তদের বাড়িতেই যান সুকান্ত। সুকান্তের কথায়, “দিলীপ মণ্ডলের মতো লোকজন তৃণমূলের সম্পদ। পার্থ, কেষ্টর মতোই সম্পদ এঁরা।’’ তৃণমূল নেতাদের সম্পত্তির খতিয়ানের প্রসঙ্গ তুলে সুকান্ত বলেন, ‘‘প্রয়োজনে ইডি, সিবিআইয়ের দ্বারস্থ হব।”
মনোনয়ন ঘিরে যে সন্ত্রাস বিভিন্ন জায়গায় চলছে। সে বিষয়ে ইতিমধ্যেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন বলে জানান সুকান্ত। বলেন, “আমি চিঠি দিয়েছি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে। আইনের শাসন নেই, এটা চলতে পারে না।”
ভাঙড়ে গিয়ে এ দিন রাজ্যপাল যে ভাবে আইনের শাসনের কথা বলেছেন, তার প্রশংসা করেন সুকান্ত। বলেন, “রাজ্যপালের এই বক্তব্যের জন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তবে শুধু বললেই হবে না। এটাকে বাস্তবে রূপ দিতে হবে।”
ঝড়খালি কোস্টাল থানায় গিয়ে পুলিশকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন সুকান্ত। বিজেপি কর্মীরা থানার সামনে অবস্থান-বিক্ষোভ করেন পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে। বাসন্তী থানা গিয়ে দোষীদের দ্রুত গ্রেফতারির দাবি জানান তিনি। সুকান্তের সঙ্গে এ দিন ছিলেন জেলা ও রাজ্য বিজেপির অন্যান্য নেতৃত্ব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy