নির্বাচনী প্রচারের মিছিলে সুকান্ত মজুজদার। ছবি: সুজিত দুয়ারি।
নির্বাচন কমিশন বলে কিছু নেই, মন্তব্য করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
রবিবার হাবড়ার কুমড়া এবং মছলন্দপুর ২ পঞ্চায়েত এলাকার কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে রোড শো করেন সুকান্ত। সঙ্গে ছিলেন বিজেপির বারাসত সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তাপস মিত্র। সুকান্ত এ দিন বলেন, "নির্বাচন কমিশন বলে কিছু নেই। যেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী কম পড়বে, সেখানে বিজেপি কর্মীরাই কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকায় থাকবেন।" বিজেপির সর্বত্র মনোনয়ন দিতে না পারা নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতির বক্তব্য, "কমিশনের ভূমিকা যদি নিরপেক্ষ থাকে, আর যদি ৭ দিন সময় দেওয়া হয়, আমরা সব আসনে প্রার্থী দিয়ে দেখাব।" এ প্রসঙ্গেই তিনি জানান, বিজেপি এ বার ৬৪ শতাংশ আসনে প্রার্থী দিয়েছে এবং গত বারের তুলনায় তৃণমূল এ বার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কম আসনে জয়ী হয়েছে।
কেন্দ্রীয় বাহিনী চাওয়া নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে সুকান্ত বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় নির্বাচন কমিশন কেন্দ্রীয় বাহিনী চাওয়া নিয়ে রাজনীতি করছে। কারণ, এক সঙ্গে এত কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়া কোনও কেন্দ্র সরকারের পক্ষেই সম্ভব নয়।"
সুকান্ত এ দিন তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, "মানুষ তৈরি আছেন। যে দিন সুযোগ পাবেন, গণতান্ত্রিক উপায়ে তৃণমূলের গালে থাপ্পড় মারবেন। মুখ্যমন্ত্রী রাজ্য চালানোর ক্ষেত্রে বার বার অপদার্থতা প্রমাণ করছেন। মানসম্মান থাকলে এত দিনে পদত্যাগ করতেন।"
বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নাম না করে সমালোচনা করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, "আগে চাল বিক্রি করে চাল চুরি করতেন। এখন গাছ চুরি করছেন।" জ্যোতিপ্রিয়র পাল্টা জবাব, ‘‘বিধানসভা ভোটে সুকান্তবাবুদের নেতা রাহুল সিংহকে হাবড়া থেকে হারিয়ে বিদায় দিয়েছিলাম। সুকান্তদের মুখে এ সব কথা মানায় না। এখানে এসে নোংরা কুরুচিরপূর্ণ কথা বলা হাবড়ার মানুষ মেনে নেবেন না।"
শনিবার কুলতলির মেরিগঞ্জ ২ পঞ্চায়েতের শ্যামনগর এলাকার মইতিরচকে আক্রান্ত বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন সুকান্ত। বেশ কয়েকটি বাড়িতে যান তিনি। পরে কুলতলি থানায় গিয়ে দীর্ঘক্ষণ আইসির সঙ্গে বৈঠক করেন।
দিন কয়েক আগে এই এলাকায় বিজেপি-তৃণমূল গোলমাল বাধে। বিজেপির তরফে তৃণমূলের বিরুদ্ধে কর্মী-সমর্থকদের মারধর, বাড়ি-ঘর ভাঙচুরের অভিযোগ করা হয়। পাল্টা মারধরের অভিযোগ করেছিল তৃণমূলও। সুকান্ত বলেন, “বাড়িতে ঢুকে লুটপাট চালিয়েছে তৃণমূলের নেতারা। গরিব মানুষের টাকা নিয়ে চলে গিয়েছে। এত ভিখারির দশা তৃণমূলের? বললেই পারে, আমরা লঙরখানা খুলে ওদের খাওয়াব।’’ তাঁর অভিযোগ, মহিলাদের ধর্ষণের হুমকি দিয়েছে তৃণমূলের লোকজন। মহিলা হিসেবে মুখ্যমন্ত্রীর লজ্জা পাওয়া উচিত। পুলিশ নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করছে না বলে অভিযোগ করে সুকান্ত বলেন, ‘‘রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হলেই একমাত্র নিরপেক্ষ ভোট করা যাবে।”
থানা থেকে বেরিয়ে সুকান্ত বলেন, “আইসি কথা দিয়েছেন, ওই এলাকায় আর কোনও গোলমাল হতে দেবেন না। ভোট পর্যন্ত আর কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে, তা দেখবেন। ওঁর কথায় আশ্বস্ত হয়ে আমরা ফিরে যাচ্ছি। ফের কিছু হলে এই থানায় বসেই ধর্না দেব।”
তৃণমূল অভিযোগ মানেনি। দলের নেতা পিন্টু প্রধান বলেন, “স্বাধীনতার পর এই প্রথম কুলতলিতে শান্তিপূর্ণ ভাবে মনোনয়ন হয়েছে। ভোটও উৎসবের মেজাজে হবে। কোথাও কোনও অশান্তি নেই। কিছু নেতা ভোটের মুখে এলাকায় এসে মিথ্যা অভিযোগ করে ঝামেলা বাধাতে চাইছেন।”
পুলিশ জানিয়েছে, বিজেপির অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy