প্রতীকী ছবি।
পড়ুয়াদের মধ্যে বাড়ছে বিএড পড়ার আগ্রহ। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় চলতি শিক্ষাবর্ষে বহু ছাত্রছাত্রী বিএড পড়ার জন্য ভর্তি হয়েছেন। দুই জেলার বিভিন্ন বিএড কলেজগুলিতে খোঁজ নিয়ে জানা গেল, অনেক জায়গায় গত কয়েক বছরের তুলনায় বিএডে আগ্রহ বেড়েছে পড়ুয়াদের। কলেজ কর্তৃপক্ষের মতে, হাইকোর্টের তৎপরতায় শিক্ষক নিয়োগে আশার আলো দেখছেন পড়ুয়ারা। তার জন্যই বাড়ছে বিএড পড়ার চাহিদা।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার মহকুমা এলাকায় সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে চারটি বিএড কলেজ রয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রায় সব আসন ভর্তি হয়ে গিয়েছে বলে কলেজ সূত্রের খবর। সুন্দরবন বিএড কলেজের অধ্যক্ষ সেগেন্দার আলি শেখ বলেন, “এ বার বিএড পড়ার প্রতি ছাত্রছাত্রীদের আগ্রহ চোখে পড়ার মতো। আমাদের কলেজে ১০০ আসন রয়েছে। ইতিমধ্যেই আসন ভর্তি হয়ে গিয়েছে। গত বছরেও ১০০ আসন ভর্তি হয়েছিল। তবে এ বার অনেক বেশি পড়ুয়া আবেদন করেছিলেন। অনেকেই ফিরে গিয়েছেন।”
সাগরের জগদীশচন্দ্র মণ্ডল ইনস্টিটিউ অফ এডুকেশনের প্রতিষ্ঠাতা অতনু মণ্ডল জানান, কলেজে আসন সংখ্যা ৫০। শেষ কয়েক বছরে ঠিক মতো আসন পূরণ হয়নি। অনেক ক্ষেত্রেই ডেকে ডেকে পড়ুয়াদের ভর্তি করাতে হয়েছিল। তবে এ বার চাহিদা সামাল দেওয়া যাচ্ছে না।
উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকায় বিএড কলেজগুলিতেও বহু পড়ুয়া ভর্তি হচ্ছেন। হাসনাবাদের একটি বিএড কলেজের ১০০ আসনের সব ভর্তি হয়ে গিয়েছে। মিনাখাঁ, হিঙ্গলগঞ্জ ও চাঁপাপুকুর এলাকার বিএড কলেজগুলিও সব আসন ভর্তি হয়ে গিয়েছে। বসিরহাট মহকুমার এক বিএড কলেজের কর্তা বলেন, “যে ভাবে উচ্চ আদালতের নির্দেশে স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া গতি পাচ্ছে, তাতে আশার আলো দেখছেন অনেকে।”
গোপালনগরের চরচালকি এলাকায় সুধীর কর্মকার কলেজ অব এডুকেশনের ৫০টি আসনের সব ক’টি পূরণ হয়ে গিয়েছে। কলেজ পরিচালন সমিতির সভাপতি গোপালচন্দ্র কর্মকার বলেন, “আমাদের এখানে বরাবরই সব আসন পূরণ হয়ে যায়। এ বারও হয়েছে।” বনগাঁর ছয়ঘড়িয়া পঞ্চায়েত এলাকায় বিভূতিভূষণ বিএড কলেজের ১০০টি আসনও পূর্ণ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy