ছবি: সংগৃহীত
শিক্ষামূলক ভ্রমণে গিয়েছিলেন উস্তির সরাচি অম্বিকাচরণ হাইস্কুলের ছাত্র এবং শিক্ষকেরা। নয়া নাগরিকত্ব আইন নিয়ে বিক্ষোভের ফলে উত্তরবঙ্গে আটকে পড়ে ৬৩ জনের দলটি। ‘দিদিকে বলো’ তে ফোন করে সাহায্য চান। শেষমেশ সরকারি বাসে মঙ্গলবার ফিরেছেন বাড়িতে।
স্কুল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভূগোলের শিক্ষামূলক ভ্রমণের জন্য কালিম্পংঙে গিয়েছিলেন ছাত্র এবং শিক্ষক মিলিয়ে প্রায় ৬৩ জন। ১৩ ডিসেম্বর হাওড়া থেকে দার্জিলিং মেল ধরেন। ফেরার টিকিট কাটা ছিল ১৬ ডিসেম্বর। ওই দিনই তাঁরা জানতে পারেন, নিউ জলপাইগুড়ি থেকে বাতিল হয়েছে দার্জিলিং মেল। কী ভাবে বাড়ি ফিরবেন, তা ভেবে সকলের যখন দিশেহারা অবস্থা, তখন এক শিক্ষক ‘দিদিকে বলো’তে ফোন করেন। তাতেই হল মুশকিল আসান।
‘দিদিকে বলো’ থেকে তাঁদের শিলিগুড়ি বাসস্ট্যান্ডের উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগের কথা বলা হয়। সেখান থেকে সন্ধে ৭টা নাগাদ বাসে মঙ্গলবার সকাল ১১টা নাগাদ শিয়ালদহ পৌঁছন তাঁরা। সেখান থেকে আবার ট্রেন ধরে ডায়মন্ড হারবারের দেউলা স্টেশনে যাওয়ার ছিল অনেকের। শিয়ালদহ স্টেশনে এসে তাঁরা জানতে পারেন, ওই শাখায় বিভিন্ন স্টেশনে ট্রেন অবরোধ চলছে। সেখানেও প্রায় ঘণ্টা দেড়েক অপেক্ষা করতে হয় তাঁদের।
শিক্ষক সঞ্জয় দাস জানান, অনেক আগে থেকেই ওই ভ্রমণের দিন ঠিক করা ছিল। কিন্তু হঠাৎ গন্ডগোলের জেরে বাধার মুখে পড়তে হয়। রওনার দিন থেকেই ভোগান্তি শুরু। শিক্ষকের কথায়, ‘‘অবরোধের মুখে পড়ে ওই দিন আমাদের স্কুলের কাছাকাছি দেউলা স্টেশনে পৌঁছতে পারিনি। অন্য গাড়ি ভাড়া করে সোনারপুর থেকে শিয়ালদহ পৌঁছেছিলাম।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ফেরার দিন ট্রেন বাতিল হয়। সকলে মিলে শিলিগুড়ি উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার ডিপোতে যাই। কিন্তু কোনও বাস পাইনি। সেখান থেকেই দিদিকে বলোতে ফোন করি। এরপরেই বাসের ব্যবস্থা হয়। পথে আসার সময়ে শুনেছি সামনের গাড়িতে লুটপাট হচ্ছে। বাধ্য হয়ে অন্য রাস্তা দিয়ে ঘুরপথে শিয়ালদহে পৌঁছই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy