Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
POCSO Case

স্কুলের শৌচাগারে ছাত্রীকে ধর্ষণ, তার পর তালা দিয়ে পালালেন শিক্ষক! কাকদ্বীপে ধৃত অভিযুক্ত

২১ জুলাইয়ের ঘটনা। অভিযোগ, সেদিন স্কুলের শৌচাগারে এক ছাত্রীকে যৌন হেনস্থার পর তাঁকে তালাবন্দি করে পালান তিনি। অভিযুক্তকে ৭ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে কাকদ্বীপের আদালত।

Student allegedly physically assaulted by teacher in Kakdwip

—প্রতীকী চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কাকদ্বীপ শেষ আপডেট: ২৪ জুলাই ২০২৩ ১৯:২৫
Share: Save:

জোর করে ছাত্রীদের শৌচাগারে ঢুকে এক সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল স্কুলেরই এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, নির্যাতিতা যাতে বাইরে বেরিয়ে কাউকে এই কথা কাউকে জানাতে না পারেন, সে জন্য কুকর্মের পর শৌচাগারের দরজায় তালা লাগিয়ে অভিযুক্ত পালিয়ে গিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। অবশেষে নির্যাতিতার মায়ের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ফয়জুদ্দিন মোল্লা নামে এক শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের ঘটনা।

পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনাটি ২১ জুলাইয়ের। সেদিন স্কুলের শৌচাগারে যাওয়ার সময় ওই শিক্ষক ছাত্রীর পিছু পিছু যান বলে অভিযোগ। ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ, শৌচাগারে ঢোকার মুখে শিক্ষককে দেখে ভয় পেয়ে যায় সপ্তম শ্রেণির ওই পড়ুয়া। কিন্তু ওই শিক্ষক জোর করে শৌচাগারে ঢুকে পড়েন। এর পর সেখানে নাবালিকার যৌন হেনস্থা হয় বলে অভিযোগ। পরে শৌচাগারে তালা লাগিয়ে পালিয়ে যান তিনি। অন্য দিকে, মেয়ে বাড়ি ফিরছে না দেখে স্কুলে খোঁজ নেন মা। পরে শৌচাগার থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়। নির্যাতিতা তার মায়ের কাছে সমস্ত ঘটনা খুলে বলে। এর পর ওই অভিভাবিকা এ বিষয়ে প্রধানশিক্ষককে লিখিত অভিযোগ করেন। ছাত্রীর মায়ের অভিযোগ, এমন মারাত্মক অভিযোগ পাওয়ার পরও কোনও পদক্ষেপই করেননি প্রধানশিক্ষক বা স্কুল কর্তৃপক্ষ। স্কুলের তরফে এ বিষয়ে কোনও সহযোগিতা না পেয়ে তিনি পুলিশের কাছে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

নির্যাতিতার মা জানিয়েছেন, যৌন হেনস্থার অভিযোগে গত ২৩ জুলাই সন্ধ্যায় ঘোলা থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন নির্যাতিতার বাবা। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে অভিযুক্ত শিক্ষককে ওই দিন রাতেই গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতের বিরুদ্ধে ধর্ষণ-সহ পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়। সোমবার ওই শিক্ষককে কাকদ্বীপ আদালতে পেশ করা হলে তাঁকে ৭ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। এই বিষয়ে কাকদ্বীপ আদালতের সরকারি আইনজীবী সব্যসাচী দাস বলেন, ‘‘অভিযুক্তকে পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ধৃতের বিরুদ্ধে পকসো আইনের ৬ ধারায় এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।’’ অন্য দিকে, নির্যাতিতার মা অভিযুক্ত শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

অন্য বিষয়গুলি:

POCSO Case Teacher Student kakdwip POCSO
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE