সম্প্রতি কাশ্মীরের পহেলগামে ঘটে যাওয়া জঙ্গি হামলার পরে দেশের সীমান্ত এলাকাগুলিতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। সুন্দরবন জলপথ সীমান্তেও কড়া নজরদারি চালাচ্ছে প্রশাসন। বঙ্গোপসাগর দিয়ে
সুন্দরবনে আগে একাধিক অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটেছে। অপরাধমূলক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে বাংলাদেশ থেকে আসা বহু ট্রলার ধরাও পড়েছে।সে সব মাথায় রেখে তাই এ বারেও সতর্কতা বাড়ানো হয়েছে ওই সীমান্ত এলাকায়।
প্রশাসন সূত্রের খবর, দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবনের জল-সীমানা প্রায় ১৫০ কিলোমিটার। এই পথে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নদী ও বনভূমি এলাকায় বিএসএফ মোতায়েন আছে। ভাসমান বর্ডার আউটপোস্ট, বঙ্গোপসাগর অংশে উপকূলরক্ষী বাহিনীর নজরদারি চলছে। ড্রোন, সেন্সর, ক্যামেরা, কিছু জায়গায় নাইট ভিশন ক্যামেরাও ব্যবহার হচ্ছে। পুলিশের তরফেও উপকূল এলাকায় দিনরাত নজরদারি চলছে।
উপকূলীয় থানাগুলির পক্ষ থেকে নদীপথে রাতেও নিয়মিত টহল দেওয়া হচ্ছে। নদী বা সমুদ্রে এখন মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা চলছে। ফলে মৎস্যজীবীদের জলযান চলাচলের কথা নয়। তাই জলযান দেখলেই তল্লাশি চলছে। বাংলাদেশি জাহাজেও পুলিশি তল্লাশি চলছে।
সুন্দরবন পুলিশ জেলার সুপার কোটেশ্বর রাও নালাভাট বলেন, ‘‘আগেও উপকূলবর্তী এলাকায় পুলিশি নজরদারি চলত। এখন বাড়তি জোর দেওয়া হচ্ছে। দু’বেলা নদী এবং স্থলপথে পুলিশি টহল বৃদ্ধি পেয়েছে। নাকা তল্লাশি চলছে।”
উত্তর ২৪ পরগনার উপকূল এলাকাতেও নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। নিরাপত্তা বেড়েছে জল ও স্থলসীমান্তে। জল, ভূমি ও আকাশে ইজ়রায়েল রাডারের মাধ্যমে নজরদারি চালাচ্ছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দফতর জানিয়েছে, বাংলাদেশের আকাশ ব্যবহার করে ভারতকে আক্রমণ করতে পারে জঙ্গি সংগঠনগুলি। ফলে সুরক্ষা বাড়াতে বিএসএফের তৎপরতা শুরু হয়েছে। বসিরহাট মহকুমার স্বরূপনগর থেকে হিঙ্গলগঞ্জের হেমনগর কোস্টাল থানা পর্যন্ত ৯৪ কিলোমিটার সীমান্তের মধ্যে ৫০ কিলোমিটার জলসীমান্ত। সীমান্ত সুরক্ষায় অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন রয়েছে বলে খবর।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)