—প্রতীকী চিত্র।
কয়েক দিন আগেই বেলঘরিয়ায় এক ব্যবসায়ীকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছিল। সেই ঘটনার রেশ এখনও কাটেনি। এরই মধ্যে শনিবার রাতে ব্যারাকপুর কমিশনারেট এলাকার উত্তর দমদমের ফতেল্লাপুরে পাড়ার এক ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে গুলি করার অভিযোগ উঠল আর এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। হাফিজুর রহমান নামে গুলিবিদ্ধ ওই ব্যক্তিকে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। রবিবার তাঁর অস্ত্রোপচার করে গুলি বার করা হয়। তবে হাফিজুরের সঙ্কট এখনও কাটেনি। ঘটনায় অভিযুক্ত ফারুক আহমেদকে গ্রেফতার করেছে নিমতা থানার পুলিশ। তার কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে একটি আগ্নেয়াস্ত্র এবং এক রাউন্ড কার্তুজ। আটক করা হয়েছে একটি স্কুটার। রবিবার ফারুককে পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছে ব্যারাকপুর আদালত।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হাফিজুর এবং ফারুক একই এলাকার বাসিন্দা। শনিবার রাতে হাফিজুরকে ফোন করে একটি চায়ের দোকানে আসতে বলে ফারুক। কিন্তু হাফিজুর না গেলে ফারুক স্কুটার নিয়ে তাঁর বাড়ির সামনে গিয়ে ডাকাডাকি শুরু করে। পুলিশ জানিয়েছে, হাফিজুর বাইরে বেরিয়ে এলে দু’জনের মধ্যে কোনও একটি বিষয় নিয়ে বচসা হয়। অভিযোগ, তখনই ফারুক গুলি চালায়। আহতের পরিবারের দাবি, অন্তত তিন বার গুলি চালানো হয়েছে। যদিও পুলিশের দাবি, গুলি চলেছে এক রাউন্ড। একটি গুলি হাফিজুরের পেটে লাগে। রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়ির সামনে তিনি লুটিয়ে পড়েন।
এ দিকে, গোলমাল শুনে হাফিজুরের বাড়ির লোকজন বেরিয়ে এসে ফারুককে ধরে ফেলেন। উভয় পক্ষের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। স্থানীয়েরা জানিয়েছেন, তার মধ্যে হাফিজুরের স্ত্রী অভিযুক্তের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্রটি কেড়ে নেন। ফারুককে মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। সেই অবস্থায় লোকজনের হাত ছাড়িয়ে চম্পট দেয় সে। রাতেই হাফিজুরকে ভর্তি করা হয় আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। খবর পেয়ে আসে নিমতা থানার পুলিশ। রাতেই গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
তবে গুলি চলার কারণ নিয়ে ধোঁয়াশায় তদন্তকারীরা। হাফিজুরের বাবা শেখ হবিবুর রহমানের দাবি, তাঁর ছেলে কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন। হাফিজুর মাছের ব্যবসায় যুক্ত বলে জানিয়েছেন তিনি। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জেনেছে, অভিযুক্ত এবং আহত, দু’জনে পরস্পরের পরিচিত। আগে তাঁদের মধ্যে যোগাযোগ ছিল। কিন্তু মাঝে কোনও কারণে দূরত্ব বাড়ে।
স্থানীয় একটি সূত্রের বক্তব্য, ঘটনার নেপথ্যে এলাকা দখলদারির বিষয় থাকতে পারে। যদিও
পুলিশের ধারণা, ঘটনাটি পূর্ব পরিকল্পিত নয়। প্রাথমিক ভাবে এখনও রাজনৈতিক যোগ মেলেনি। ব্যবসায়িক কারণ বা ব্যক্তিগত আক্রোশে গুলি চালানো হল কি না, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy