Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
Mid Day Meal

Mid day meal: খাবার ঘরের ছাউনি উড়েছে ঝড়ে

রায়দিঘির কঙ্কনদিঘি সন্তোষ ঘোড়ুই বালিকা বিদ্যামন্দিরে ছাত্রীদের খাবার ঘরের টিনের ছাউনি উড়ে গিয়েছিল আমপানে। বুধবার স্কুলে গিয়ে দেখা গেল, এখনও খাবার ঘরের চাল ফাঁকা পড়ে রয়েছে।

বিপর্যস্ত: এখনও এই অবস্থা খাওয়ার জায়গার।

বিপর্যস্ত: এখনও এই অবস্থা খাওয়ার জায়গার। নিজস্ব চিত্র।

দিলীপ নস্কর
ডায়মন্ড হারবার শেষ আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২১ ০৮:৫৩
Share: Save:

আংশিক ভাবে শুরু হয়েছে স্কুল। মিড ডে মিলের পরিকাঠামো খতিয়ে দেখতে রিপোর্ট তলব করেছে রাজ্য। প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়াদেরই দেওয়া হয় খাবার। আশা তৈরি হয়েছে, তবে কি অচিরেই শুরু হবে সব ক্লাস? বিষয়টি রাজ্যের করোনা পরিস্থিতির উপরে নির্ভর করবে বলে জানিয়েছেন সরকারি কর্তারা। স্কুলগুলি মিড ডে মিল চালু হলে সামলাতে কতটা তৈরি, তা খতিয়ে দেখল আনন্দবাজার।

রান্না হবে কোথায়, ছেলেমেয়েরা খাবে কোথায় বসে— সে সব ভেবে এখন দিশাহারা বহু স্কুল। প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা অবিলম্বে চালু হলে মিড ডে মিলের পরিকাঠামো সংস্কারের প্রয়োজন হয়ে পড়েছে বহু জায়গাতেই। দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূলবর্তী এলাকার স্কুলগুলিতে সমস্যা প্রকট। পর পর প্রাকৃতিক দুর্যোগে এই সব এলাকায় মিড ডে মিলের রান্নাঘর, খাবারঘরের প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। কোথাও চাল উড়ে যায়। কোথাও দেওয়াল ভেঙে পড়ে। টানা স্কুল বন্ধ থাকায় তার অধিকাংশই মেরামত হয়নি।

রায়দিঘির কঙ্কনদিঘি সন্তোষ ঘোড়ুই বালিকা বিদ্যামন্দিরে ছাত্রীদের খাবার ঘরের টিনের ছাউনি উড়ে গিয়েছিল আমপানে। বুধবার স্কুলে গিয়ে দেখা গেল, এখনও খাবার ঘরের চাল ফাঁকা পড়ে রয়েছে। আশেপাশের অনেক স্কুলে ঘুরে চোখে পড়ল একই ছবি। রায়দিঘি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেল, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় ছাদে-দেওয়ালে আগাছা বেরিয়ে গিয়েছে। স্কুল চত্বরও আগাছায় ভরা। এক শিক্ষক জানান, মিড ডে মিলের গুদামঘর বহু দিন খোলা হয়নি। সেখানে সাপখোপ থাকা অসম্ভব নয়। ক’দিন আগে মন্দিরবাজারের একটি হাইস্কুলের গুদাম ঘর খুলতেই কেউটে সাপের বাচ্চা বেরোয়।

সন্তোষ ঘোড়ুই বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মাধবী মণ্ডল বলেন, “প্রত্যন্ত এলাকা এই স্কুলে পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ২০০। মিড ডে মিল খাবার জায়গায় ছাউনি ভেঙে রয়েছে দীর্ঘদিন। ফলে পঞ্চম শ্রেণি থেকে ক্লাস শুরু হলে সমস্যা হবে। আমপানের সময়ে একমাত্র পানীয় জলের নলকূপটিও খারাপ হয়ে গিয়েছিল। তা এখনও সারানো হয়নি। দূর থেকে জল এনে খেতে হচ্ছে। জলের সমস্যার জন্য শৌচালয় ব্যবহারেরও সমস্যা হচ্ছে।”

স্কুলের সংস্কার ও ছাউনির জন্য টাকা বরাদ্দ হয়েছে বলে জানান তিনি। সেই টাকায় দ্রুত কাজ শুরু হবে বলেও জানিয়েছেন। তবে অনেক স্কুলের তরফে সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার কথা বলা হলেও এখনও টাকা মেলেনি বলে অভিযোগ। বিশেষ করে প্রাথমিক স্কুলগুলি এখনও সংস্কারের টাকা পায়নি।

প্রাথমিক স্কুল শিক্ষকদের অনেকে জানান, মাস দু’য়েক আগে জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কী ক্ষতি হয়েছে তার বিস্তারিত বিবরণ পাঠাতে বলেছিল স্কুলশিক্ষা দফতর। সেই মতো সব স্কুলের পক্ষ থেকে মিড ডে মিলের খাবারঘর, রান্নাঘর, শৌচালয়, শ্রেণিকক্ষ, বেঞ্চ, চেয়ার-টেবিল ও খেলার মাঠ সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছিল বহু স্কুল। কত টাকা লাগবে, তা-ও জানানো হয়েছিল। কিন্তু এত দিনেও বরাদ্দের ব্যাপারে কিছু জানতে পারেনি বলেই জানিয়েছে অনেক স্কুল।

জেলা শিক্ষা দফতরের এক আধিকারিক অবশ্য জানান, অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই কাজ শুরু হবে।

অন্য বিষয়গুলি:

Mid Day Meal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy