n সোদপুরে অবাধে চলছে মাইকের উপদ্রব। বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র
সকাল ১০টায় শুরু, চলছে রাত ১০টা পর্যন্ত। চোঙা লাগিয়ে তারস্বরে পুজোর বাজারের প্রচার। সোদপুর স্টেশন রোড, উড়ালপুল জুড়ে গত ১০ দিন ধরে চলছে মাইকের দাপাদাপি।
সোদপুর উড়ালপুল এবং স্টেশন লাগোয়া বেশ কয়েকটি আবাসন রয়েছে। আছে সরকারি আবাসনও। শব্দ-দানবের হাত থেকে বাঁচতে ব্যারাকপুরের মহকুমাশাসকের দ্বারস্থ হয়েছেন সেখানকার বাসিন্দারা। মাইকের উপদ্রব থামানোর আর্জি জানিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে তাঁকে। পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছেন মহকুমাশাসক।
উত্তর শহরতলির মধ্যে কাঁচরাপাড়া বাদ দিলে সোদপুরের বাজার সব চেয়ে বড়। অন্য জেলা থেকেও বহু মানুষ এখানে বাজার করতে আসেন। বিভিন্ন নামী সংস্থার শো-রুম থেকে শুরু করে পোশাক, প্রসাধনী, জুতোর প্রচুর দোকান এখানে। সেগুলি ছড়িয়ে রয়েছে সোদপুর স্টেশন রোড এবং উড়ালপুলের দু’পাশের রাস্তায় ও উড়ালপুলের নীচে। পুজোর মরসুম এলেই ক্রেতাদের টানতে
নানাবিধ পন্থা নেয় দোকানগুলি। লিফলেট-পোস্টার-ব্যানার তো বটেই, মাইকেও চলে প্রচার। কেনাকাটায় ছাড় থেকে শুরু করে, বিশেষ উপহারের কথা চোঙা ফুঁকে বলা হয় তারস্বরে।
এলাকার সরকারি আবাসনের এক বাসিন্দা অধীরকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সকাল ১০টা থেকে তীব্র শব্দে একসঙ্গে বাজতে শুরু করছে সব মাইক। প্রতিটা দোকানের আলাদা মাইক। আমাদের পাগল হওয়ার উপক্রম।’’ ওই আবাসনেরই আর এক বাসিন্দা অভিষেক সরকার বলেন, ‘‘ফোনে কথা বলা যাচ্ছে না। অন্য প্রান্ত থেকে কে, কী বলছে শুনতে পাচ্ছি না। বাচ্চা এবং বয়স্কেরা ঘুমোতে পারছেন না। এ ভাবে থাকা যায়?’’
যাঁরা অসুস্থ, মাইকের আওয়াজে তাঁদের অবস্থা হয়েছে আরও কাহিল। এক বাসিন্দা সরমা বিশ্বাস বলেন, ‘‘আমার শ্বশুরমশাই খুবই অসুস্থ। মাইকের আওয়াজে তিনি আরও অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত তাঁকে ইছাপুরে ননদের বাড়িতে পাঠাতে বাধ্য হই।’’
মহকুমাশাসক আবুল কালাম আজাদ ইসলামকে চিঠি লিখে অবিলম্বে শব্দদূষণ বন্ধের আর্জি জানিয়েছেন অধীরবাবু। বৃহস্পতিবার মহকুমাশাসক বলেন, ‘‘বিষয়টি আজই আমার নজরে এসেছে। পুলিশ এবং পুর কর্তৃপক্ষকে বলছি অবিলম্বে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy