—প্রতীকী চিত্র।
জামাইয়ের হাতে খুন হলেন শাশুড়ি। ছুরির আঘাত থেকে রেহাই পেলেন না শ্যালক এবং শ্যালকের স্ত্রীও। উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা এলাকার এই ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুরু হয়েছে তদন্ত।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গাইঘাটা থানা এলাকায় গুটড়ি ইংলিশপাড়ার বাসিন্দা বীনা বিশ্বাস। মাসছয়েক আগে তাঁর বিবাহ হয় রাজদীপ সরকারের সঙ্গে। এটি বীনার দ্বিতীয় বিবাহ। অভিযোগ, বিয়ের কিছু দিন পর থেকেই বীনাকে মারধর করতেন রাজদীপ। বৃহস্পতিবারও তিনি বীনাকে মারধর করেন বলে অভিযোগ। তার পরেই রাগে মায়ের কাছে চলে এসেছিলেন বীনা।
বীনার পরিবারের দাবি, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই বীনাকে ফোন করে বাড়ি ফিরে আসার জন্য জোরাজুরি করছিলেন রাজদীপ। বীনা রাজি না হওয়ায় স্ত্রীকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেন অভিযুক্ত। তার পর হঠাৎই ছুরি নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে চড়াও হন রাজদীপ। ছুরি দিয়ে কোপান শাশুড়ি সরস্বতী বিশ্বাসকে। ছুরির আঘাতে ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন বৃদ্ধা। বৃদ্ধাকে বাঁচাতে গিয়ে গুরুতর আহত হন শ্যালক এবং তাঁর স্ত্রীও। কোনও রকমে চিৎকার-চেঁচামেচি করে পরিবারের বাকিরা প্রতিবেশীদের সাহায্য চান। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে পালিয়ে যান অভিযুক্ত রাজদীপও।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় গাইঘাটা থানার পুলিশ। পুলিশ সরস্বতী দেবীকে উদ্ধার করে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এখনও ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অভিযুক্তের শ্যালক। ঘটনার তদন্তে নেমে বৃহস্পতিবার রাতেই গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে। শুক্রবার তাঁকে আদালতে হাজির করানোর কথা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy