যুবককে বিষ খাইয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল দক্ষিণ ২৪ পরগনার উস্তির কানপুরে। ওই ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে যুবকের স্ত্রী, শ্বশুর এবং শাশুড়ির বিরুদ্ধে। পুলিশ ৩ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। ঘটনার জেরে সোমবার সকাল থেকে উত্তপ্ত ওই এলাকা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যুবকের নাম শেখর হালদার। তিনি কানপুর এলাকার বাসিন্দা। শেখরের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস পাঁচেক আগে কানপুরেরই বাসিন্দা শ্রাবণী হালদারের সঙ্গে বিয়ে হয় শেখরের। তার আগে দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। শেখরের পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের কিছু দিন পর থেকেই অশান্তি শুরু হয় পরিবারে। তার জেরে শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে স্ত্রী শ্রাবণী চলে যান বাপের বাড়ি। এর পর থেকেই শেখর এবং শ্রাবণী আলাদাই থাকতেন।
আরও পড়ুন:
-
বিশ্ব জনস্বাস্থ্যে করোনা এখনও উদ্বেগের, সংক্রমণ শুরুর তিন বছর পরেও সতর্কবার্তা হু-র
-
একটা ছক্কা মেরে দিয়ে গেলাম, অমর্ত্যের পাশে দাঁড়িয়ে বিশ্বভারতী এবং বিজেপিকে বার্তা মমতার
-
৫৭ ছুঁয়েছেন সলমন খান, নায়কের ফিটনেসের রহস্য কি প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট? না কি অন্য কিছু?
-
‘জমির নথি নিয়ে এসেছি, শেষ দেখে ছাড়ব’, অমর্ত্যের বাড়িতে গিয়ে বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা
শেখরের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, সোমবার শ্রাবণী শেখরকে ফোন করে ডাকেন। শেখর সেখানে গেলে শ্রাবণী, তাঁর মা এবং বাবা তাঁকে জোর করে বিষ খাইয়ে দেন বলে অভিযোগ। শেখরের দিদি সুষমা সরকার বলেন, ‘‘বৌ এবং মায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ওরা আমার ভাইকে খুনের চেষ্টা করেছে। ওদের শাস্তি চাই।’’ এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই শ্রাবণীর বাড়িতে চড়াও হন গ্রামবাসীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় উস্তি থানার পুলিশ। পুলিশ ৩ জনকে আটক করেছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় শেখরকে উদ্ধার করে প্রথমে ভর্তি করানো হয়েছিল বাণেশ্বরপুর গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখান থেকে তাঁকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়। ঘটনার জেরে এখনও উত্তেজনা রয়েছে এলাকায়। মোতায়েন হয়েছে পুলিশ।