ইছামতি নদী। ফাইল চিত্র।
আগামী কয়েক মাসের মধ্যে ইছামতী নদীতে শুরু হবে ড্রেজিং— শনিবার ঠাকুরনগরে এক অনুষ্ঠানে এ কথা জানালেন কেন্দ্রীয় জাহাজ ও জলপথ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর।
এ দিন ঠাকুরনগর থেকে স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব কর্মসূচির সূচনা করেন শান্তনু। উপস্থিত ছিলেন গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর। বাইক মিছিল করা হয়। সেখানে শান্তনু বলেন, “ইছামতী নদীর খনন কাজ আমার দফতর থেকে করা হচ্ছে। কাগজপত্রের কাজ প্রায় শেষ। আগামী দু’চার মাসের মধ্যে ড্রেজিংয়ের কাজ শুরু হবে।”
এ দিন মুখ্যমন্ত্রীর ইছামতী জেলা ঘোষণার সমালোচনা করেছেন শান্তনু। তাঁর কথায়, “বনগাঁ নামটি বাদ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বনগাঁ জেলার নাম ইছামতী ঘোষণা করেছেন। তিনি মনস্তাত্ত্বিক ফায়দা তুলতে ইছামতীর নামে জেলা ঘোষণা করেছেন। কারণ, তিনি জানেন, ইছামতী নদীর খনন কাজ করবে কেন্দ্র সরকার। আগামী দিনে নদীর খনন কাজ শুরু হলে তিনি মানুষের কাছে প্রমাণ করতে চাইবেন, ইছামতীর খনন কাজ তিনি করছেন।’’ শান্তনুর কথায়, ‘‘বনগাঁ একটা ঐতিহাসিক এবং ঐতিহ্যশালী জায়গা। বনগাঁর নাম রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে পরিবর্তন করার বিরুদ্ধে আমরা বিদ্রোহ করব।”
শান্তনু আরও বলেন, “ইছামতীর খনন কাজ শেষ হলে নদীকেন্দ্রিক মানুষের জীবিকা হবে। পর্যটন বাড়বে। জলপথে মানুষ যাতায়াত করতে পারবেন।”
এ দিনের কর্মসূচি থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুব্রতের গ্রেফতার হওয়ার প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর নাম না করে সমালোচনা করেন শান্তনু। বলেন, “রানি মৌমাছি কখনও নিজে মধু আনতে যায় না। তার কর্মী মৌমাছিরা মধু সংগ্রহ করে আনে। কিন্তু মধুর ভাগ রানি মৌমাছির কাছে পৌঁছয়। এ ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে।”
অনুব্রতকে কটাক্ষ করে শান্তনু বলেন, “জেলা সভাপতি হয়েও অনুব্রতের জেট ক্যাটাগরির নিরাপত্তা ছিল। মুখ্যমন্ত্রীর থেকেও তাঁর প্রভাব বেশি ছিল। দলের কাছে মাল (টাকা) পৌঁছে দিত। স্বাভাবিক ভাবেই দলতো তার পাশে থাকবে। তাঁকেশেল্টার দেবে।”
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস বলেন, ‘‘ভোটে জেতার পরে সাংসদকে এলাকার মানুষ চোখে দেখেননি। ইছামতী নদী কেমন, তিনি জানেন না। অথচ, ইছামতীর পাড়ের মানুষ তাঁকে ভোটে জিতিয়েছিলেন। জনবিচ্ছিন্ন হয়ে ইছামতী নিয়ে উনি মিথ্যে কথা বলছেন। লোকসভা ভোট যত এগিয়ে আসবে, ওঁর মিথ্যাচার আরও বাড়বে।’’ মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা প্রসঙ্গে বিশ্বজিৎ বলেন, ‘‘সাংসদ তহবিলের টাকা উনি কিসে খরচ করেছেন, আগে তার তদন্ত হওয়া উচিত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy