অশোকনগরের বাইপাস রোডের বনবনিয়া ও নিচু কয়াডাঙা এলাকায় রাস্তায় ফেলা রয়েছে বালি। —নিজস্ব চিত্র।
অশোকনগর-কল্যাণগড় পুরসভার বিল্ডিং মোড়ের কাছে যশোর রোডে রবিবার রাতে একটি গাড়ি উল্টে জখম হন তিন জন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনাস্থলে রাস্তার উপরেই পড়ে ছিল ইমারতি মালপত্র। তার জেরেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায় গাড়িটি। এই ঘটনায় রাস্তার ধারে যত্রতত্র ইমারতি মালপত্র ফেলে রাখার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন এলাকার লোকজন।
স্থানীয় সূত্রের খবর, কেবল যশোর রোড নয়, অশোকনগর-কল্যাগড় পুরসভা এলাকা জুড়েই বিভিন্ন রাস্তা দখল করে ইমারতি মালপত্র ফেলে রাখা হয়। ছোট বড় দুর্ঘটনা লেগেই থাকে। অভিযোগ, এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করে না প্রশাসন।
সোমবার এলাকায় ঘুরে দেখা গেল, বহু জায়গায় রাস্তার অনেকটা দখল করে ইট, বালি, পাথর রাখা রয়েছে। পাশ দিয়ে ঝুঁকি নিয়েই চলছে যাতায়াত। নিচু কয়াডাঙা, দেবীনগর, ৫ নম্বর তরুণপল্লি, পিএল ক্যাম্প, ভৈরবতলা-সহ বিভিন্ন এলাকাতেই চোখে পড়ল এই ছবি। বাসিন্দারা জানান, দমকল স্টেশন লাগোয়া রাস্তার উপরেই গাড়ি থেকে ইমারতি মালপত্র ওঠানো-নামানো হয়। গাড়ি চালকেরা জানান, রাস্তার মালপত্র পড়ে থাকায় অনেকসময় উল্টে দিক থেকে আসা গাড়িকে জায়গা দেওয়া যায় না।
সম্প্রতি অশোকনগরের ক্রীড়া সংগঠক পঙ্কজ পোদ্দারের মৃত্যু হয় বাইকের ধাক্কায়। ওই ঘটনার পর পুরসভার পক্ষ থেকে দুর্ঘটনা কমাতে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। ঠিক হয়েছিল শহরের মধ্যে রাস্তার উপর বা রাস্তার পাশে ইমারতি মালপত্র ফেলে রাখা যাবে না। রাস্তায় ইমরাতি মালপত্র পড়ে থাকলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলেও পুরসভার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল। রাস্তা থেকে ইমারতি মালপত্র সরিয়ে নিতে পুরসভার পক্ষ থেকে মাইকে প্রচারও চলে কয়েকদিন।
কিন্তু অভিযোগ, তারপরও পুরসভা এলাকায় রাস্তাগুলি সম্পূর্ণ ইমারতি মালপত্র মুক্ত করা যায়নি। শহরের বাসিন্দারা অনেকেই জানান, পুরসভা ও পুলিশের নজরদারির অভাবেই কিছু ব্যবসায়ী রাস্তা দখল করে ইমারতি মালপত্র ফেলে রাখে। দুর্ঘটনা ঘটলে প্রশাসন কিছুদিন নড়েচড়ে বসে। তারপর আবার পুরনো অবস্থায় ফিরে যায় সবকিছু।
অশোকনগরের প্রাক্তন বিধায়ক সিপিএমের সত্যসেবী কর বলেন, “পুরসভার ঘোষণার পরও রাস্তা থেকে এক ইঞ্চিও ইমারতি মালপত্র সরেনি। আর কত দুর্ঘটনা ঘটলে পুরসভার টনক নড়বে জানি না।” অশোকনগর-কল্যাণগড়ের পুরপ্রধান প্রবোধ সরকারের দাবি, “পুরসভা এলাকায় রাস্তাগুলি থেকে ইমারতি মালপত্র অনেকাংশেই সরানো হয়েছে। বাকি থাকা ইমারতি মালপত্র সরাতে দ্রুত পদক্ষেপ করা হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy