মাঝরাস্তায় স্ত্রীর উপর হামলার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে। —প্রতীকী চিত্র।
বিবাহবিচ্ছেদ চেয়ে স্ত্রীকে প্রাণে মারার চেষ্টার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। সোমবার রাতে এই ঘটনার পর পলাতক স্বামী। তাঁকে খুঁজছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার দেগঙ্গা থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, রাতের অন্ধকারে রাস্তায় ফেলে স্ত্রীকে কুপিয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। আক্রান্ত বধূর নাম মঞ্জু কাহার। ঘটনাচক্রে, তিনি আবার চাঁপাতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন তৃণমূল সদস্যা। স্বামীর বিরুদ্ধে মঞ্জুর অভিযোগ, তাঁকে এবং তাঁদের সন্তানের কোনও দায়িত্ব নেন না স্বামী দেবু কাহার। তাই বেশ কিছু দিন ধরে বাপের বাড়িতে গিয়ে থাকছেন তিনি। বাড়ি বাড়ি পরিচারিকার কাজ করে কোনও রকম সংসার নিজেদের পেট চালান। সোমবার রাত ৭টা নাগাদ তিনি চাঁপাতলা হাড়োয়া রোড ধরে বাপের বাড়ির দিকে হাঁটছিলেন। তখন আচমকা তাঁর উপর হামলা চালান স্বামী। ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাঁকে আঘাত করা হয়। খুনের লক্ষ্য নিয়েই তাঁকে আক্রমণ করা হয় বলে অভিযোগ।
মঞ্জুর অভিযোগ, প্রথমে পথ আগলে তাঁকে ডিভোর্স দিতে বলেন স্বামী। এর পর ঝোলা থেকে ধারালো অস্ত্র বার করে কুপিয়ে খুনের চেষ্টা করা হয়। ওই বধূর কথায়, ‘‘মাঠের মধ্যিখানে আমাকে টেনে নিয়ে গিয়ে বলে, ‘তুই আমাকে ডিভোর্স দিসনি কেন?’ আমি বললাম, ‘ঠিক আছে। তুমি ডিভোর্স চাইছ যখন কাগজ পাঠাও, আমি সই করে দেব। কিন্তু তার পরে বলল, তোকে আমি মেরেই দেব।’’ মহিলা জানান, নিজেকে রক্ষা করতে গিয়ে হাত দিয়ে মুখ ঢেকে ফেলেন। কিন্তু তার পরও অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপ মারেন স্বামী।
বধূর চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ছুটে আসেন। তত ক্ষণে দেবু সেখান থেকে পালিয়ে যান। খবর পেয়ে মঞ্জুর বাপের বাড়ির লোকজন এসে তাঁকে দেগঙ্গার বিশ্বনাথপুর হাসপাতালে ভর্তি করেন। সোমবার সকালে স্বামীর বিরুদ্ধে দেগঙ্গা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই বধূর দাদা। স্বামীর এই কাণ্ড নিয়ে স্ত্রী বলছেন, ‘‘মাঝেমাঝেই এমন করে। চার মাস ভাল থাকে। তার পর দু’মাস এমন করে। আগে এক বার পুলিশকেও বলেছিলাম। এখন আবার যাচ্ছি পুলিশের কাছে। ওকে যেন শাস্তি দেয় ওরা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy