মন্ত্রী রেজ্জাক মোল্লার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে পিছনে বসে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। ফাইল চিত্র
২০১১ সালে বামফ্রন্ট সরকারের যখন পতন হয়, সে সময়ে রেজ্জাক মোল্লা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য সম্পর্কে তির্যক মন্তব্য করে বলেছিলেন, ‘হেলে ধরতে পারে না, কেউটে ধরতে যায়।’ এই মন্তব্য ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে যায়। বামফ্রন্ট মন্ত্রিসভার প্রাক্তন ভূমি ও ভূমি সংস্কার মন্ত্রী আব্দুর রেজ্জাক মোল্লা তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের মন্ত্রিসভায় দশ বছর ভূমি দফতর সামলেছেন। রাজ্য রাজনীতিতে বুদ্ধবাবুর সঙ্গে রেজ্জাকের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মতবিরোধ নানা সময়ে চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছিল।
বৃহস্পতিবার বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের মৃত্যুর খবর পেয়েছেন রেজ্জাক। ভাঙড়ের বাঁকড়ির গ্রামের বাড়িতে শয্যাশায়ী অসুস্থ রেজ্জাক। কার্যত কথা বলার অবস্থায় নেই শারীরিক কারণে। এ দিন কোনও মতে বললেন, ‘‘কী আর বলব, ভীষণ খারাপ লাগছে। আমার থেকে বয়সে এক বছরের ছোট ছিলেন বুদ্ধবাবু। অত্যন্ত সৎ মানুষ। এক সঙ্গে দীর্ঘ দিন বামফ্রন্টের মন্ত্রিসভায় কাজ করেছি। কিছু ক্ষেত্রে আমাদের মধ্যে মতবিরোধ হয়েছিল। এক সঙ্গে কাজ করতে গেলে যা হয়।’’
১৯৭২ সালে ভাঙড় বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ভোটে জিতে বিধায়ক হয়েছিলেন রেজ্জাক মোল্লা। ওই সময়ে বুদ্ধবাবু ভোটে দাঁড়াননি। ১৯৭৭ সালে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য বিধানসভা ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
এ দিন রোগশয্যায় একটানা কথা বলতে পারছিলেন না রেজ্জাক। তবু মুখভঙ্গি দেখে বোঝা গেল, অনেক কিছু বলতে চান। খানিক দম নিয়ে ফের বললেন, ‘‘ওঁর সঙ্গে অনেক স্মৃতি জড়িয়ে। তবে সব কথা মনে আসছে না। অত্যন্ত সংস্কৃতিমনস্ক
মানুষ ছিলেন। জ্যোতি বসু যখন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, তখন আমি চাইলে যখন-তখন দেখা করতে পারতাম। কিন্তু বুদ্ধবাবু মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন সে সুযোগ ছিল না। তবে এমনিতেই আমার সঙ্গে সম্পর্ক ভাল ছিল। সালিম গোষ্ঠীর রাস্তা তৈরি নিয়ে জমি
সংক্রান্ত বিষয়ে আমার সঙ্গে বিরোধ তৈরি হয়।’’ সব কিছুর পরেও প্রাক্তন সহকর্মীর মৃত্যুতে তাঁর মন ভারাক্রান্ত, জানালেন রেজ্জাক। বললেন, ‘‘কিছু ভাল লাগছে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy