বেহাল: আমপানের পর সংস্কার হয়নি এই বাঁধের। নিজস্ব চিত্র ।
আমপানের পর এক বছর কেটে গিয়েছে। কিন্তু ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের বিশপুর পঞ্চায়েতের বায়লানি খেয়াঘাটের পাশে ডাঁসা নদীর কয়েকশো মিটার বাঁধ এখনও সংস্কার হয়নি বলে অভিযোগ। এর মধ্যেই নতুন ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’-এর সম্ভবনা তৈরি হয়েছে। স্থানীয়দের আশঙ্কা, ঝড় এলে দুর্বল এই নদীবাঁধ ভেঙে ফের ভাসতে পারে এলাকা।
স্থানীয় সূত্রের খবর, এক বছর আগে আমপানের রাতে বিশপুর পঞ্চায়েতের বায়লানি খেয়াঘাটের পাশের এই নদীবাঁধটি ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছিল। স্থানীয়রা কোনওরকমে মাটি কেটে, খড়, ত্রিপল চাপিয়ে বাঁধ রক্ষা করেন। তবে জলের ধাক্কায় বাঁধের মাটি ক্ষয়ে বাঁধটি দুর্বল হয়ে গিয়েছে। বাঁধের উপরের ঢালাই রাস্তার নীচে গর্ত হয়ে গিয়েছে বলে স্থানীয়দের দাবি। স্থানীয়রা জানান, ঝড়ের কয়েক মাস পর বাঁধে বাঁশের খাঁচা করে দু-এক বস্তা মাটি ফেলা হয়। তবে তাতে কাজের কাজ হয়নি বলেই অভিযোগ স্থানীয়দের।
শুক্রবার এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, বাঁধের নানা জায়গায় মাটি কম। বাঁধের পাশে বড় বড় গাছগুলির কয়েকটা মাটির অভাবে হেলে গিয়েছে। বাঁধের উপর কোথাও কোথাও আমপানের রাতে দেওয়া ত্রিপলও চোখে পড়ল। বাঁধের পাশের বাসিন্দা ভূধর সর্দার, দেবু সর্দার, ত্রিভুবন সর্দাররা জানান, আমপানের ধাক্কায় বাঁধ দুর্বল হয়ে আছে। ইয়াস-এর ধাক্কা আর নিতে পারবে না। এখনও যদি প্রশাসন পদক্ষেপ না করে তাহলে বাঁধ ভাঙবেই।
ভূধর বলেন, “এক বছর হয়ে গেল, বাঁধে পর্যাপ্ত মাটি পড়ল না। এটাই আক্ষেপ।”
এই বাঁধ ভাঙলে বায়লানি, বিশপুর, হুলারচক, ধানিখালি-সহ অনেক গ্রাম প্লাবিত হতে পারে বলে আশঙ্কা।
স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য উত্তম দাস পরিস্থিতির কথা মেনে নিয়ে বলেন, “আমপানের পর কিছুটা কাজ হয়েছিল এই বাঁধে। তবে সেটা যথেষ্ট নয়। এখনও বাঁধের প্রায় ২০০ মিটার অংশ বেশ বিপজ্জনক। এই অংশে খুব দ্রুত কাজ হবে। এছাড়া আরও কয়েকশো মিটার বাঁধ জুড়ে মাটি ফেলা দরকার।”
হিঙ্গলগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অর্চনা মৃধা বলেন, “এই বাঁধের মেরামত নিয়ে একটা জটিলতা ছিল। তবে আমরা চেষ্টা করছি ইয়াস আসার আগেই এই বাঁধ মেরামতের কাজ শেষ করতে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy