অসম্পূর্ণ: মাঝপথেই বন্ধ হয়ে পড়ে আছে রাস্তার কাজ। নিজস্ব চিত্র
আট বছর আগে ক্যানিং ১ ব্লক ও বারুইপুর ব্লকের সংযোগকারী সাতমুখী হাট থেকে শিবনগর পর্যন্ত প্রায় দশ কিলোমিটার রাস্তা তৈরির জন্য শিলান্যাস হয়। সে বছরই সেচ দফতরের ক্যানেল ডিভিশন রাস্তাটি তৈরির জন্য টেন্ডার ডাকে। কাজের বরাতও দেয় দু’টি ঠিকাদারি সংস্থাকে। কাজ শুরু হলেও মাঝপথে দু’টি ঠিকাদার সংস্থাই চলে যায়।
সেই ঘটনার পরে বহু দিন কেটে গেলেও এখনও তৈরি হয়নি রাস্তা। ফলে এলাকার মানুষকে যন্ত্রণা ভোগ করতে হচ্ছে।
দশ কিলোমিটার রাস্তা তৈরির জন্য তখন প্রায় সাড়ে ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছিল। উত্তরবঙ্গের দুই ঠিকাদারি সংস্থা রাস্তা তৈরির বরাত পেয়েছিল। কাজ শুরুর পরে নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা আসতে থাকে বলে সূত্রের খবর। মাঝপথে কাজ বন্ধ করে দিতে হয় ঠিকাদার সংস্থাকে।
এরপর গঙ্গা দিয়ে অনেক জল গড়িয়েছে। কিন্তু এই রাস্তা আর তৈরি হয়নি। যত দিন গিয়েছে, ততই রাস্তা আরও খারাপ হয়েছে। ক্যানিং ১ ব্লকের নিকারিঘাটা, দাঁড়িয়া, হাটপুকুরিয়া, দিঘিরপাড়, তালদি, বারুইপুর ব্লকের বেলেগাছি পঞ্চায়েত-সহ আশপাশের হাজার হাজার মানুষ এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেন। রাস্তার দু’পাশে বেশ কয়েকটি বড় বাজারও পড়ে।
এলাকাটি কৃষিভিত্তিক হওয়ায় উৎপাদিত ফসল বাজারে নিয়ে যাওয়ার জন্য এই রাস্তা গুরুত্বপূর্ণ। স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল শেখ, শরিয়ত মোল্লা, রথীন সর্দারেরা বলেন, “ বছরের পর বছর ধরে এই রাস্তা খারাপ হয়ে পড়ে আছে। কাজ শুরু হলেও জানি না সঠিক কী কারণে কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে।”তৎকালীন ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল বলেন, “ অনেক তদ্বির করে এই রাস্তা সেচ দফতরের থেকে বরাদ্দ হয়েছিল। বিভিন্ন সমস্যার কারণে বন্ধ হয়ে যায় কাজ। ২০২০ সালে কাজ চালুর জন্য মুখ্যমন্ত্রীর দরবারে আরও একবার তদ্বির করেছিলাম।”
বর্তমান বিধায়ক পরেশরাম দাস বলেন, “রাস্তার দু’পাশে বোর্ডও লাগানো হয়েছিল। কিন্তু কাজ হয়নি। কী কারণ, আমারও সঠিক জানা নেই। তদন্ত করার জন্য সেচ দফতরকে চিঠি লিখেছিলাম। আজ পর্যন্ত তদন্ত হয়নি। রাস্তাটি ফের করার জন্য সেচ দফতরকে জানিয়েছি। না হলে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাব।” এ বিষয়ে সেচ দফতরের এগজ়িকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সোমনাথ দেব বলেন, “এই রাস্তার সিবিআর টেস্ট করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। সেই রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। ওঁরা নতুন ডিজাইন করে দিলেই আমরা স্কিম তৈরি করে জমা দেব। অর্থ বরাদ্দ হলেই কাজ শুরু হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy